কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিএনপি’র সাংগঠনিক সভাকে কেন্দ্র করে কামরুল হুদা গ্রুপ ও হিরণ মোল্লা-জুয়েল গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক কামরুল হুদা গ্রুপের হামলায় জেলা বিএনপি’র সদস্য হিরণ মোল্লাসহ অন্তত ১৫জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে চৌদ্দগ্রাম বাজারের পৌর মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় বেশ কিছুক্ষণ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
সংঘর্ষে আহতরা হলো; পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী জোবায়ের, চিওড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, মুন্সীরহাট ইউনিয়ন যুবদল কর্মী সবুজ, শ্রীপুর ইউনিয়নের বাইকগ্রামের সাইফুল, একই ইউনিয়নের ছাত্রদল কর্মী ইউসুফ, জনি, যুবদল কর্মী ইকবাল, উজিরপুরের আইয়ুব, কালিকাপুর ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সভাপতি মো. জাকির হোসেন, যুবদল কর্মী মহিনসহ অন্তত ১৫জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল হোসেন জুয়েল বলেন, উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সভায় কামরুল হুদা গ্রুপ ব্যতিত যাতে অন্য ডেলিকেট প্রবেশ করতে না পারে তারা গেইটে পাহারা বসায়। আমরা নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে হকিষ্টিক, চাইনিজ কুড়ালসহ বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে। এতে আমাদের অন্তত ১৫জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আতর্কিত হামলায় আমরা পোগ্রামস্থলে প্রবেশ করতে না পেরে চলে আসি।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সদস্য সাজেদুর রহমান মোল্লা হিরণ বলেন, নেতাকর্মীদের নিয়ে আমি পোগ্রামস্থলে প্রবেশের চেষ্টা করলে তারা আমাকে লাঞ্চিত করে এবং নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে। আমি মিলনায়তনে প্রবেশ করতে না পেরে আবুল খায়ের মার্কেটের সামনে এসে নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান করি। কিছুক্ষণ পর সেখানেও আমার উপর হামলা করে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিলাল উদ্দিন জানান, বিএনপির সাংগঠনিক সভায় দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কির বিষয়ে শুনেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ঘটনায় কোন পক্ষ অভিযোগ দায়ের করে নাই।