যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক সভাপতি এবং তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ড. মির্যা গালিব বলেছেন দেশকে এগিয়ে নিতে হলে হিংসা বিদ্দেশ হানাহানি মারামরি, সন্ত্রাস ও মাদক থেকে বেরিয়ে বিভাজনের রাজনীতি পরিহার করতে হবে। আমাদের দেশের শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত সব জায়গায় সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে বিভাজন ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এখন দল-মত-ধর্ম এসব নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিভাজন তৈরির সময় নয়। সব কিছুর উর্ধ্বে উঠে দেশের সকল নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিশেষ করে যুব সমাজকে এ কাজে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। তিনি আজ শুক্রবার দুপুরে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে জামায়াতে ইসলামী ভেদরগঞ্জ উপজেলা যুব ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত যুব সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ড. গালিব বলেন একটি দেশকে সামগ্রিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বহু বছরের প্রয়োজন হয় না। একটি প্রজন্মই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এজন্য আমাদের একটা প্রজন্ম লাগবে, যাঁরা এই স্বপ্নটা দেখবে। জুলাইয়ের গনঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কিন্তু আমরা দেখছি আমাদের দেশে সেই প্রজন্ম আছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মত একটি শক্তিশালী সরকারকে একটা জেনারেশন রাস্তায় দাড়াইয়া ৩৬ দিনের আন্দোলনে শেষ করে দিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি এই দেশের তরুণ প্রজন্মের হাত দিয়ে এই দেশের সব কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব। এই তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য আমাদের কম্পিডেন্ট একটি লিডারশীপ প্রয়োজন। যারা বক্তব্য দিতে দাঁড়িয়ে ২৫/৩০ মিনিট নেতার গুনগান করবে না। চিৎকার চেচামেচি করবে না। যারা মানুষের সমস্যা নিয়ে কথা বলবে, যারা দেশের সমস্যা নিয়ে কথা বলবে, দেশকে আগামী ১০ বছর পর কোথায় নিয়ে যেতে চায় সেই বিষয় নিয়ে কথা বলবে। আমাদের স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন ভাবে গনতন্ত্র প্রাকটিস করতে পারতাম তাহলে আজকে দেশ যে অবস্থানে আছে সে অবস্থানে থাকতো না। তার চেয়ে অনেক ভালো থাকতো। অনুষ্ঠানে ভেদরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর মোঃ মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর শরীয়তপুর জেলা আমীর মাওলানা আব্দুর রব হাশেমী।

বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এর নির্বাহী সদস্য ও শরীয়তপুর-৩ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মাদ আজহারুল ইসলাম, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর কে এম মকবুল হোসাইন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা ওবায়দুল হক, মুহাম্মদ শাহাবুদ্দীন, শাহ জালাল চৌধুরী, মাওলানা আনোয়ার মাসুদ প্রমুখ।