বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মা’ছুম বলেছেন, প্রিয় মাতৃভূমি গত ১৭ বছর পাশের দেশের করদরাজ্যে পরিণত হয়েছিল। এতবেশি জুলুম হয়েছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। লাখ লাখ নাগরিককে জেলে বন্দী করে রেখেছিলো। বিচারবিভাগ, প্রশাসন, আইনশৃংখলা সহ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছিলো। বাংলাদেশকে পাশের দেশের বাজারে পরিণত করা হয়। কারাগারে নিয়ে রিমান্ডের নামে আলেম-ওলামাদের কে চরম নির্যাতন করে হাছিনা সরকার। জামায়াতের শীর্ষ ১১ জন নেতাকে ফরমায়েশি আদেশে ফাঁসির নামে হত্যা করা হয়। জামায়াতের নিবন্ধ বাতিল ও সম্পদ দখল করে নেয় ফ্যাসিস্ট হাছিনার জুলুমবাজ সরকার। যারা সালাত আদায়কারি, টাকনুর উপরে পায়জামা/প্যান্ট পরতো ও মসজিদে যাতায়াতকারিদের কে জঙ্গি বানানো হতো। আলেম-ওলামা মানেই জঙ্গী হিসেবে চালানো হতো।
জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা আরো বলেন, ফ্যাসিজম আদ্যবদি থাকতে পারলে আমরা কেহই হয়ত বেঁচে থাকতামনা। আমাদের সবাইকে মেরে ফেলতো।
ছাত্রজনতার আন্দোলনে লজ্জাজনক ভাবে হাসিনা পালিয়েছে। জনগণ এখন জামায়াতকে দেশের দায়িত্ব দিতে চায়। জনগণের প্রত্যাশা সবাইকে দেখেছি। এবার আমরা জামায়াতকে চাই। লুটপাট, চাঁদাবাজি ও নিজ দলের কর্মী হত্যা সহ নানান অপকর্মের কারণে জনগণ এখন জামায়াতকে ক্ষমতায় বসাতে চায়। দেশী-বিদেশী মহলও মনে করছে জামায়াতকে বাংলাদেশের মানুষ ক্ষমতায় বসাতে চায়। তিনি জামায়াতের রুকন ও দায়িত্বশীলদের কে আগামি নির্বাচনে আর্থিক কোরবাণি দিতে আহ্বান জানান।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরিউক্ত বক্তব্য রাখছিলেন।
মহানগর জামায়াতের আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য কাজী দ্বীন মোহাম্মদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের পরিচালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর একেএম এমদাদুল হক মামুন।
উপস্থিত ছিলেন মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটেরী কামরুজ্জামান সোহেল ও মোশাররফ হোসাইন, অফিস সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, মহানগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, কর্মপরিষদ সদস্য ভিপি মজিবুর রহমান, মুহাম্মদ হোসাইন, অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম সহ অনেকে।