নিউইয়র্ক থেকে এইচ এম আকতার : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন হলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে। একই দিন জাতীয় ও জুলাই সনদের নির্বাচন হলে বুমেরাং হতে পারে। আগে গণভোট পরে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাসেই হবে ইনশাআল্লাহ।

WhatsApp Image 2025-10-23 at 09.47.31_60b140cf

বুধবার স্হানীয় সময় সদ্ধ্যা সাতটা কোয়ালিশন অব বাংলাদেশী আমেরিকান এসোসিয়েশন (কোবা) আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা অতীত নিয়ে কথা বলতে চাই না। প্রবাসিদের ভোটাধিকার আমরাই প্রথম দাবি জানিয়েছি। আপনারা রেমিট্যান্স যোদ্ধা। ভোটাধিকার পাইলে সকল দাবিই বাস্তবায়ন হবে। নাগরিকত্ব থাকলেই তার ভোটাধিকার থাকতে হবে। সে যে দলেরই হউক। সবাই ভোট দিলেই আপনারা গুরুত্ব পাবেন।

জামায়াত আমীর বলেন, আপনাদের শুধু অর্থ দেশে পাঠালেই হবে না। দেশ গঠনে আপনাদের ভুমিকা রাখতে হবে। আপনারা বিশ্ব সভ্যতাকে দেখেন। সে পরামর্শ আপনারা আমাদের দিবেন। আপনাদের অভিজ্ঞতা আমরা কাজে লাগাতে চাই। আমরা সেবক হতে চাই। আল্লাহ যদি আমাদের দায়িত্ব দেন তাহলে সবার আগে আমরা শিক্ষা ব্যবস্হার পরিবর্তন করবো। এটি আসলে কোন ভালো শিক্ষা ব্যবস্হা নয়। কাজের সাথে শিক্ষার সম্পর্ক থাকবে। আমরা ‍দূর্নীতি রাখবো না। ক্ষমতায় গেলে দূর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করবো। ন্যায় বিচার প্রতিষ্টা করবো। দুনিয়ায় সবার সাথে আমাদের ভালো সম্পর্ক থাকবে। এসব নির্মুল করতে গেলে আমাদের হিমালয়ের সমান বাধা পেরুতে হবে। আমরা তাই করবো। আমাদের দূতাবাসগুলো প্রবাসিদের তেমন কাজ করে না। এটি দুঃখজনক। প্রবাসে যারা আছেন, একসাথে বসতে হবে। জাতির স্বার্থে এক সাথে কাজ করতে হবে। আমাদের নিয়ে আরো সমালোচনা করতে হবে। তবে সমালোচনা যেনো জাতি গঠনে ভূমিকা রাখে। তিনি সবাইকে দেশে যাওয়ার আহবান জানান।

তিনি আরও বলেন, পিআর নিয়ে জনমত তৈরি করছি। জনগণ যদি চায় তাহলে হবে। বিশ্বের প্রায় ৮০ দেশে পিআর আছে। এক দেশের সাথে অন্য দেশের ভিন্নতা আছে।

তিনি বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি লাগবে। তাহলে জনগনের অধিকার আদায় হবে।

ক্ষমতায় গেলে ভারতের সাথে বাংলাদেশ করা চুক্তি বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চুক্তি হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে। চাইলে কোন চুক্তি বাতিল করা যায় না। এতে দেশে বিনিয়োগ নষ্ট হয়।

এনসিপি জামায়াতের বিরুদ্ধে বক্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, ওরা ছোট মানুষ ওরা রাজনীতি শিখছে। ওদের অনেক অবদান। রাজনীতি করলে সমালোচনা সহ্য করতে হবে। নির্বাচনি জোট নিয়ে তিনি বলেন, ইসলামি দলগুলোর সাথে আমাদের নির্বাচনি জোট হতে পারে।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা ক্ষমতা গেলে দুর্নীতি নির্মূলে কাজ করবো। দুর্নীতি সাথে কোন আপোষ নয়। সেনা অফিসারদের আটক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আইনের শাসন চাই। অপরাধী যত বড়ই হউক না কেন তিনি আইনের উর্ধ্বে নন। তার পরিচয় তিনি অপরাধী। কতিপয় সেনা অফিসার এরজন্য দায়ী গোটা বাহিনী কোনভাবেই দায়ী হতে পারে না।

একাত্তর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর আগেও তিন বার ক্ষমা হয়েছে। শুধু ৭১ নয় ৪৭ সাথে আজ পর্যন্ত যত ভুল আমি এবং আমার দল করেছি তার জন্য নিশর্ত ক্ষমা চাই। এটি মানুষের দল ভুল হতেই পারে।

নিউইয়র্কে অবস্থানরত সাংবাদিকদের দেশের জন্য কাজ করার আহবান জানান তিনি।