গাজীপুর-৩ আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য (এমপি) প্রার্থী ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম-এর নেতৃত্বে শ্রীপুর পৌর এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী পৌরসভার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এসব কর্মসূচি পালন করে স্থানীয় জামায়াত নেতাকর্মীরা।

দিনের শুরুতে সকাল ৮টায় লোহাগাছ গ্রামের সাতরাস্তা মোড় থেকে গণসংযোগ শুরু হয়। পরে সকাল ১০টায় মোল্লা বাড়ি মসজিদ এলাকায়, বেলা ১২টায় কাপাসিয়া রোডের ছাপড়া মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এবং বিকেল সাড়ে ৫টায় ফালু মার্কেট এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিটি স্থানে স্থানীয় জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কর্মসূচিগুলো উৎসবমুখর পরিবেশে পরিণত হয়। এ সময় দোকানপাট, বাড়িঘর ও পথচারীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয় এবং নির্বাচনী অঙ্গীকার ও কর্মসূচি তুলে ধরা হয়।

পথসভাগুলোতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি শুধুমাত্র ক্ষমতা নয়, এটি একটি আদর্শভিত্তিক আন্দোলন। আমরা জনগণের সেবায় বিশ্বাস করি। ন্যায়নীতি, সুবিচার ও কল্যাণকামী রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। গাজীপুর-৩ আসনকে একটি আধুনিক, সুশাসিত ও মাদকমুক্ত মডেল এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।”

তিনি আরও বলেন,“এই জনপদের মানুষ অনেক সম্ভাবনাময়, কিন্তু সঠিক নেতৃত্বের অভাবে পিছিয়ে রয়েছে। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি-জনগণের ভোট ও ভালোবাসার মাধ্যমে যদি বিজয়ী হই, তাহলে শ্রীপুরে টেকসই উন্নয়ন, যুবকদের কর্মসংস্থান, নারী শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”

পথসভাগুলোতে আরও বক্তব্য রাখেন শ্রীপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মোঃ নুরুল ইসলাম এবং উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ।

তারা বলেন, “দেশের বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণে ইসলামী নেতৃত্বই হতে পারে একমাত্র পথ। দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও জনকল্যাণ নিশ্চিত করতে জামায়াতের বিকল্প নেই। আমরা চাই, জনগণের মতামত ও ভোটের মাধ্যমে একটি আদর্শিক পরিবর্তন ঘটুক।”

গণসংযোগে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন ওয়ার্ডের জামায়াত সদস্য, যুব সমাজ, ছাত্র ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। তারা ওই গ্রামের প্রতিটি মহল্লায় গিয়ে দলের বার্তা পৌঁছে দেন এবং নির্বাচনী প্রচারণা চালান।

শ্রীপুরের সাধারণ মানুষের মাঝে এই কর্মসূচির মাধ্যমে নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম ও নারী ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। জামায়াত নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচনের দিন পর্যন্ত তারা শান্তিপূর্ণ গণসংযোগ ও সচেতনতামূলক প্রচারণা অব্যাহত রাখবেন।