বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য ডক্টর এ, এইচ,এম, হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, সমুদ্রে মাছ ধরার সময় জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কারন জেলেরাই জীবনের সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে সাগর থেকে মৎস্য আহরন করে দেশের অর্থনীতি গতিশীল করার পাশাপাশি আমাদের আমিষের চাহিদা মেটাচ্ছে। জানা যায়, জেলেগণ শুধু সাগরের মৎস্য থেকে প্রতি বছর ১ লক্ষ কোটি টাকার উপরে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। কিন্তু সরকার তাদের প্রতি সুবিচার করছে না। জেলেদের পরিশ্রমে দেশের অর্থনীতির চাকা স্বচল থাকলেও তাদের পরিবারে অভাব অনটন লেগে থাকে।
তিনি আরো বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও জলদস্যুর কবলে পড়ে মৎসজীবীরা সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরে আসে। আবার অনেকে নিঁখোজ হয়ে যায়। তারা এদেশের নাগরিক সরকার তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে তারা বেকার হয়ে যাবে । ফলে জাতীয় অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়বে।
ড. আযাদ বলেন, সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকাকালীন সময়ে জেলেদের রেশন বৃদ্ধি এবং প্রশিক্ষণ প্রদান পুর্বক তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার আহবান জানাচ্ছি।
বুধবার (২১ মে) মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়ন ও ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের মুদির ছড়ায় পৃথক দুটি মৎস্য জীবীদের মত বিনিময় সভায় ডক্টর হামিদুর রহমান আযাদ উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি সাগরে মাছ ধরার সময় ঘুর্ণিঝড় হলে উপকুলের সাথে যোগাযোগ করার মতো শক্ত নেটওয়ার্ক গড়ে তুলে মাঝি- মাল্লাদের কুলে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
ডক্টর আযাদ বলেন, মাছ ধরার সময় সাগরে জলধস্যুদের হাতে আহত মাঝি- মাল্লাদের ফ্রি চিকিৎসা ও নিহতদের পরিবার কে উপযুক্ত ক্ষতি পুরনের দাবি করছি। সেই সাথে প্রত্যেক মাঝি- মাল্লাদের ডাটাবেইজ তৈরি করে তাদের নামে আলাদা জেলে কার্ড বিতরণের মাধ্যমে পারিবারিক ভাবে খাদ্যের সরবরাহ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
মাঝি- মাল্লাদের পরিবারের নিরাপত্তার কথা স্বরন করে প্রত্যেক জেলেদের জন্য কমপক্ষে ১০ লক্ষ টাকার জীবন বীমা করার অনুরোধ তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, মৎস্যজীবীদের বিনা সুদে ঋনের ব্যবস্থা গ্রহণ সহ মৎস্য আহরনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট যন্ত্র পাতির উপর শুল্ক কমানোর জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী কুতুবজোম ইউনিয়ন সভাপতি আবুল হোসেন ও ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মৎস্যজীবীদের সাথে পৃথক মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মোঃ জাকের হোছাইন, মহেশখালী উপজেলা দক্ষিণের আমীর মাষ্টার শামিম ইকবাল, সেক্রেটারি মৌলানা আব্দুর রহিম, ব্যাংক ম্যানেজার বোরহান উদ্দিন খান, মাঈনুল ইসলাম, জামায়াত নেতা মকবুল সোবহান সহ জামায়াত - শিবিরের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।