বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও রাজশাহী-১ আসনের সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, চাঁদাবাজ ও লুটপাটমুক্ত দেশ গড়তে হলে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, আমাদের ব্যাক্তি ও সামাজিক জীবনসহ রাজনীতি, অর্থনীতি ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় কুরআন সুন্নাহর বিধান চালু করতে পারি তাহলেই মানুষের মুক্তি, তাহলেই দেশে ও মানুষের জীবন শান্তি, শৃংখলা ও সমৃদ্ধ হবে। জামায়তে ইসলামী সেই প্রচেষ্টাই করে যাচ্ছে।

গতকাল শুক্রবার সকালে রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর উদ্যোগে সদস্য (রুকন) সম্মেলন-২০২৫-এ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এসব একথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীর ড. মাওলানা কেরামত আলী। যৌথ সঞ্চালনায় ছিলেন মহানগরী সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মন্ডল ও সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ শাহাদৎ হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, এ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, বিগত দেড়দশক ধরে স্বৈরশাসক হাসিনা এদেশের মানুষকে জিম্মি করে তাদের ভোটাধিকার হরণ করেছে। শেখ হাসিনার নীতি ছিল ‘আমার ভোট আমি দেবো তোমার ভোটও আমি দেবো’। এই একদলীয় স্বৈরশাসন নীতির কাছ থেকে মানুষ আজ মুক্তি পেয়েছে। নতুন কোনো জিম্মিদশায় মানুষ বন্দি হতে চায় না, এই দেশ থেকে চাঁদাবজি আর লুটপাটের রাজনীতি বন্ধ করতে হলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই। তিনি আরো বলেন, সামনে নির্বাচন, আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছি, অধিকার আদায়ের লড়াইটাও চলবে। দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি বুঝলেও কোনো কোনো দল বুঝতে চাইছে না। এর মানে হলো কেউ পুর্বের নীতিও চালু রাখতে চায়। আমরা বিশ্বাস করি জনগণ সেই সকল নীতি আদর্শকে প্রত্যাখান করবে।

সম্মেলনে অন্যান্য অতিথিদের মাঝে বক্তব্য দেন, রাজশাহী মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর এ্যাড. আবু মোহাম্মদ সেলিম, নায়েবে আমীর ও জামায়াতে ইসলামী মনোনীত রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাহবুব আহসান বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সরকার, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সেক্রেটারি ও রাজশাহী-৩ আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, শিল্প ও বাণিজ্য সেক্রেটারি অধ্যাপক একেএম সারওয়ার জাহান প্রিন্স, অফিস সেক্রেটারি তৌহিদুর রহমান সুইট, যুব বিভাগের সেক্রেটারি সালাউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।