কয়রা (খুলনা) সংবাদদাতা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এবং খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) সংসদীয় আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, এবারের নির্বাচন হবে মানুষের মৌলিক আকাক্সক্ষা পূরণের নির্বাচন। এবারের নির্বাচন কোনো গতানুগতিক নির্বাচন নয়। এই নির্বাচন জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা পূরণের নির্বাচন। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের অধিকারের পক্ষে ভোট দিতে পারি তবেই একটি ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। গত বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে কয়রা সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে ওড়াতলা হাফিজিয়া মাদ্রাসায় উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এছাড়াও গতকাল সারাদিন কয়রা সদর ইউনিয়নের ১নং, ২নং, ৫নং ও ৯ নং ওয়ার্ডে ব্যাপকভাবে উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, ইসলামী আদর্শে বিশ্বাসী ৮টি দল আজ একত্রিত হয়েছে। আগামী নির্বাচনে আমাদের ভোটের বাক্স হবে একটি। এই ঐক্য দেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ইসলামী মূল্যবোধ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। স্বাধীনতার পর গত ৫৪ বছরে অধিকাংশ নির্বাচনই ছিল বিতর্কিত ও ত্রুটিপূর্ণ, যেখানে ব্যাপক কারচুপি, অনিয়ম, ভোট চুরি, কেন্দ্র দখল ও ভোটারবিহীন নির্বাচন হয়েছে। এই ‘কলঙ্কজনক অধ্যায়’ থেকে বেরিয়ে এসে একটি স্বচ্ছ ও পক্ষপাতহীন নির্বাচন করতে পিআর পদ্ধতি গ্রহণ করা জরুরি।

মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আরো বলেন, গত ৫ই আগস্টের পর থেকে জনগণের ওপর নির্যাতন, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও হত্যার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই একটি রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের বিরোধিতা করে আসছে। জুলাই বিপ্লবের অভ্যুত্থানের পর জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য পিআর পদ্ধতির কোনো বিকল্প নেই’। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

কয়রা সদর ইউনিয়নের আমীর জি এম মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি প্রভাষক নুরুজ্জামানের সঞ্চালনায় উঠান বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কয়রা উপজেলা জামায়াতের আমীর ও কয়রা সদর ইউনিয়ন জামায়াত মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা মিজানুর রহমান, নায়েবে আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, সেক্রেটারি শেখ সায়ফুল্লাহ, সহকারি সেক্রেটারি মাওলানা সুজাউদ্দীন আহমেদ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কয়রা উপজেলা সভাপতি মোল্যা শাহাবুদ্দীন শিহাবসহ জামায়াতের অনেক নেতৃবৃন্দ।