জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, এক বছর হয়ে গেলেও সরকার এখনো ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্বীকৃতি দেয়নি। যারা এই দেশের জন্য জীবন দিয়েছে, তাদের আত্মত্যাগকে স্বীকৃতি দিয়ে ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। এই অবিচার আর চলতে দেওয়া যায় না। আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যেই সরকার যদি কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়, তবে আমরা জনগণ এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে নিজস্ব ঘোষণাপত্র ও ‘জুলাই সনদ’ প্রকাশ করব।

শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে যশোর ঈদগাহ মোড়ে পদযাত্রায় বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, দেশে বিচারহীনতা, বৈষম্য আর দলীয় দখলদারিত্ব চলছে। এভাবে চলতে দেওয়া যাবে না। এখনই সময় বিচার, সংস্কার এবং নতুন সংবিধানের দাবিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এ দেশের মানুষ আর কোনো স্বৈরাচার মেনে নেবে না। স্বৈরাচার ফিরলে রাজপথে নামবে জনগণ।

যশোর প্রসঙ্গে বিশেষ বক্তব্য দিয়ে নাহিদ ইসলাম নাহিদ বলেন, যশোর একটি সীমান্তবর্তী জেলা। বহুদিন ধরে এখানে মাদকের আখড়া গড়ে উঠেছে। যারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তাদের জন্য আমাদের হুঁশিয়ারি দেশ ও প্রজন্ম ধ্বংসের ষড়যন্ত্র আর বরদাশত করা হবে না। পুলিশকে দলীয় নয়, নিরপেক্ষ থেকে জনগণের বন্ধু হতে হবে। বিচার ও সংস্কার ছাড়া দেশের শাসনব্যবস্থা টেকসই হবে না।

তিনি আরো বলেন, যশোরে একটি করোনারি ইউনিট হাসপাতাল রয়েছে, যা দীর্ঘদিন অবহেলিত। এখানকার জনগণের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা জরুরি। আর ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধান ছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন অসম্ভব। এই দাবিগুলো জাতির কাছে তুলে ধরতেই আমাদের এই পদযাত্রা

ডিজিএফআই ও নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে নাহিদ বলেন, আমরা চাই না, এ দেশের গোয়েন্দা সংস্থা আবার কোনো ঘুমের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হোক। ডিজিএফআইকে নিরপেক্ষ ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে থাকতে হবে। একইভাবে নির্বাচন কমিশনকে দলমতনির্বিশেষে সবার আস্থা অর্জন করতে হবে। পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশন দেশকে আবারও অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেবে।