বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরীর আমীর ড. মাওলানা কেরামত আলী বলেছেন, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে রমজানের শিক্ষার আলোকে নিজেদের তৈরি ও বদরের চেতনাকে জাগ্রত করতে হবে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাপাই নবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে রানিহাটি হাই স্কুল মাঠে এক বিশাল আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন ।

মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মাওলানা কেরামত আলী বলেন, পবিত্র রমজান মাসেই সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী ফোরকান তথা মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল করা হয়েছে বিশ্বমানবতার মুক্তির সনদ হিসাবে। রমজান হচ্ছে কুরআন থেকে গাইডলাইন নিয়ে জীবন পরিচালনার মাস। এই মাসেই ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধে মুসলমানদের বিজয় দানের মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইসলাম ও মুসলমানদের মর্যাদা সমুন্নত করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, পবিত্র রমজান মাসেই সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী ফোরকান তথা মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল করা হয়েছে বিশ্বমানবতার মুক্তির সনদ হিসাবে। রমজান হচ্ছে কুরআন থেকে গাইডলাইন নিয়ে জীবন পরিচালনার মাস। আর এ মাসেই রয়েছে মহামহিমান্বিত রাত পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর। আর এ রাত হচ্ছে হাজার রাত অপেক্ষা উত্তম। আবার এই মাসেই ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধে মুসলমানদের বিজয় দানের মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইসলাম ও মুসলমানদের মর্যাদা সমুন্নত করেছিলেন। মূলত, বদর যুদ্ধই ছিলো ইসলামের জয়-পরাজয়ের নীতিনির্ধারিত যুদ্ধ ও টার্নিং পয়েন্ট। আজকে ইসলামের বিরুদ্ধে বাতিলরা ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু ইসলামের পক্ষে ডাক দিলে বিভেদ সৃষ্টি হয়। তাই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে রমজানের শিক্ষার আলোকে নিজেদের তৈরি ও বদরের চেতনাকে জাগ্রত করতে হবে।

ড. মাওলানা কেরামত আলী বলেন, ইসলাম শুধু তাত্ত্বিক কথা বলে না, চূড়ান্তভাবে নিজেকে সঁপে দিতে বলে। ইবাদতের প্রথম শর্ত হলো নিজেকে পূর্ণাঙ্গভাবে সমর্পণ করা। আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন বিজয়ের প্রচেষ্টা চালানো প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ। জামায়াতে ইসলামী কুরআনের আলোকে রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। দ্বীনকে বিজয় দান করার দায়িত্ব আল্লাহর। আমাদের কাজ হলো লোক তৈরি, জনমত গঠন, মানুষের কাছে দাওয়াত পৌঁছানো ও আল্লাহর সাহায্য কামনা করা। আল্লাহ বলছেন, তোমরা ভীত হয়ো না, হতাশ হয়ো না। তাই নিরাশ না হয়ে ঘুনে ধরা এই সমাজব্যবস্থা ভেঙে আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন আমীর হাফেজ মাওলানা মুনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিবগঞ্জ উপজেলা আমীর আব্দুল মান্নান, সাদিকুল ইসলাম। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।