বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের কোটি কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
সোমবার রাতে তার এক ফেসবুক পোস্টে এ প্রশ্ন তোলেন। পোস্টটিতে তিনি বলেছেন, বিভিন্ন নামিদামি ব্রান্ডের গাড়ি ব্যবহারে নজরুল ইসলাম আজাদের (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক) জুড়িমেলা ভার। নেতা মানুষ তিনি, দামি গাড়িতে চড়তেই পারেন, তবে এই গাড়িগুলোর একটিও তার নিজস্ব নয়।
এর মধ্যে, তিনটি গাড়ি কোনো রকমের রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই (শো-রুম/গ্যারেজ) এর নম্বর ব্যবহার করে চলছে, যা নিয়মবহির্ভূত, ল্যান্ড রোভার ডিফেন্ডার গাড়িটি যমুনা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অটোমোবাইলের নামে রেজিস্ট্রেশন করা, ল্যান্ড রোভার রেঞ্জ রোভার গাড়িটি বিতর্কিত সাইফ পাওয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠান সাইফ পোর্ট হোল্ডিংসের নামে রেজিস্টার্ড।
উল্লেখ্য, গতকাল সাইফ পাওয়ার থেকে ৪১.৭৫ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণ ও আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুকমীলাসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আর মার্সিডিজ জি ওয়াগনটি কেমা ট্রেডিং এবং বিচারপতি মো: মোজাম্মেল হক এমপির নামে নিবন্ধিত।
প্রশ্ন হলো, একজন রাজনীতিবিদ, যিনি সাধারণ মানুষের জন্যে রাজনীতি করেন বলে দাবি করেন, তিনি কিভাবে এসব কোটি-কোটি টাকা মূল্যের গাড়িতে যাতায়াত করে তাদের কাছে পৌঁছাবেন? আর তার আয়ের প্রকৃত উৎসই বা কী? এবং কেন বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং গাড়ির শো-রুম তাকে এসব মূল্যবান সব গাড়ি সরবরাহ করবে এবং তার এসব ব্যবহার ঠিক কতটা নৈতিক?
শো-রুমের গাড়ি ব্যতিত অন্য গাড়িগুলোর রেজিস্ট্রেশনের তালিকাও তিনি তার কমেন্ট বক্সে পোস্ট করেন।