ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপায় একটি কলেজ প্রাঙ্গণে সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত পবিত্র কুরআন বিতরণ কর্মসূচিতে বাধা দেয় ছাত্রদল। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থার প্রচার বিভাগীয় সম্পাদিকা রিনতাহা তারান্নুম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) শৈলকূপা থানার মিঞা জিন্নাহ আলম ডিগ্রী কলেজ প্রাঙ্গণে সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত পবিত্র কুরআন বিতরণ কর্মসূচিতে ছাত্রদল বাধা প্রদান করে। ঘৃণিত এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রীয় সভানেত্রী মুনজিয়া ও সেক্রেটারি জেনারেল উম্মে আরওয়া গতকাল দেয়া বিবৃতিতে বলেন, ‘পবিত্র কুরআন বিতরণের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ছাত্রদলের সন্ত্রাসী আচরণ আমাদেরকে হতভম্ব করেছে। এর মাধ্যমে উক্ত ক্যাম্পাসে ছাত্রীসহ শিক্ষকদের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়েছে।’
তারা বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থার ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানার পক্ষ থেকে মিঞা জিন্নাহ আলম ডিগ্রী কলেজের ছাত্রীদের মাঝে কুরআন বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কুরআন বিতরণী অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পরপরই ছাত্রদল কর্মীরা এসে এ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা প্রদান করে। তারা ‘জিয়ার সৈনিক এক হও লড়াই করো, ধর ধর শিবির ধর, ধরে ধরে জবাই কর’- এ ধরনের ঘৃণ্য এবং আক্রমণাত্মক স্লোগানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে। শিক্ষকদের সাথেও উগ্র আচরণ করেছে।
তারা আরও বলেন, মহাগ্রন্থ আল-কুরআন কোনো রাজনৈতিক গ্রন্থ নয়, এটি আল্লাহ রব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে সমগ্র মানবজাতির জন্য দিকনির্দেশনা। কুরআন বিতরণে বাধা দেয়া মানে যেমন ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ তেমনি মৌলিক অধিকার ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা। এ ঘটনার পর কলেজ ছাত্রদল শাখা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্বেষপূর্ণ হুমকি প্রদান করতেও দ্বিধাবোধ করেনি।
তারা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জ্ঞান অর্জনের জন্য। সবার এখানে সমান অধিকার। সেখানে এরকম ঘটনা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের অতিদ্রুত চিহ্নিত করে যথাযথ ভাবে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং কুরআন অবমাননার কারণে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।