বাংলাদেশ জামায়াতে ইসরামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, দায়সারা গোছের কোন নির্বাচন জনগণ মানবে না বরং নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য। এ দাবি কোন ভাবেই পাশ কাটানোর সুযোগ নেই। আর প্রচলিত পদ্ধতির নির্বাচনে জনমতের পুরোপুরি প্রতিফলন হয় না। মূলত, জুলাই সনদ প্রণয়ন করে সাংবিধানিক ভিত্তি দিয়েই সে সনদের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। এ সব ক্ষেত্রে আইনি প্রতিবদ্ধকতা দূর করার জন্য রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি বা প্রয়োজনে গণভোটের আয়োজন করতে হবে। তিনি নির্বাচন নিয়ে যেকোন ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান। তিনি বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায়। আমাদের রাজনীতি হচ্ছে সেবার রাজনীতি। এই জনসমর্থন জামায়াতে ইসলামীর প্রতি মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার প্রকাশ। তাই জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই আমরা আগামী দিনে একটি সুশাসিত ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে কাজ করব। তিনি আরও বলেন, জনগণ আর দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, স্বজনপ্রীতির রাজনীতি চায় না। ইসলাম ও ন্যায়ের রাজনীতি চায়। আমি কথা দিচ্ছি-জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান রেখেই আমি তাদের সেবা করে যাব, ইনশাআল্লাহ। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফুলবাড়ীগেট বাজারে নির্বাচনী গণসংযোগকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, দৌলতপুর থানা আমীর মু. মুশাররফ আনসারী, সেক্রেটারি মাওলানা মহিউদ্দিন আলমগীর, ফুলবাড়ীগেট বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন পারভেজ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ডা. সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া। অন্যান্যদের মধ্যে দৌলতপুর থানা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা হাবিবুর রহমান, হাসানুজ্জামান, ২নং ওয়ার্ড সভাপতি শেখ আলাউদ্দিন, শ্রমিক নেতা খান মাহবুবুর রহমান, নিজাম উদ্দিন খান, নূরে আলম, শাসছুদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বাজারজুড়ে চলে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কুশল বিনিময়, লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ। এ সময় ব্যবসায়ীরা বলেন, অতীতে এভাবে একজন প্রার্থীকে কাছে পেয়ে কথা বলার সুযোগ খুব কমই মিলেছে। একজন শিক্ষাবিদ ও সেবামুখী ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। তারা আরও বলেন, অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের মতো সৎ, শিক্ষিত, নির্লোভ মানুষ আমাদের অনেক দরকার। উনাকে নির্বাচিত করতে পারলে এ অঞ্চলের ভাগ্য বদলাবে।