বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীকে হিন্দুবিদ্বেষী দল হিসেবে অপপ্রচার চালানো হয় অথচ দেশে হিন্দু সহ ভিন্নধর্মাবলম্বীদের সুরক্ষার জন্য জামায়াতে ইসলামী প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একইসাথে হিন্দুদের ব্যপারেও দেশে একটি ধারণা প্রচলিত আছে, সেটি হলো হিন্দু মানেই মনে করা হয় আওয়ামী লীগ। জামায়াতকে যেমন হিন্দুবিরোধী অপপ্রচার দেওয়া হয়েছে, তেমনি হিন্দুদেরও আওয়ামী লীগের একটা ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এজন্য হিন্দুদেরও যেমন জামায়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধে কাজ করতে হবে, তেমনি জামায়াতকেও হিন্দু মানেই আওয়ামী লীগ এই ‘তকমা’ দূরীকরণে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সকল ধর্র্ম বর্ণের মানুষের দেশ। হিন্দু-মুসলিম আমরা ভাই-ভাই। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে হিন্দু-মুসলিম সমানভাবে ভূমিকা রেখেছে। তা ভুললে চলবে না। আমরা হিন্দু-মুসলিম পরস্পর সহমর্মী অবস্থায় বসবাস করতে চাই। যে যার ধর্ম পালন করবো। তিনি আরও বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজা পালন নিয়ে হিন্দুধর্মালম্বীদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক আর ভীতি কাজ করছে। তাই আপনাদের আহবান জানাবো, বিগত বছরের চেয়ে আরো বেশি বেশি উৎসবমুখর পরিবেশে ধর্মীয় উৎসব পালন করুন। জামায়াতে ইসলামী দুর্গাপূজায় সতর্ক অবস্থানে থাকবে। নিরাপত্তায় কাজ করবে। দুষ্কৃতিকারীরা কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানো অপচেষ্টা করলে তাদেরকে প্রতিহত করা হবে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের হিতামপুর মালোপাড়া সার্বজনীন পূজামন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ সব কথা বলেন।
হিতামপুর মালোপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দির কমিটির সভাপতি অশোক কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ বিশ্বাসের পরিচালনায় বক্তব্য দেন খুলনা জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা এস এম আমিনুল ইসলাম, পাইকগাছা উপজেলা সেক্রেটারি মো. আলতাফ হোসেন, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আসাদুল ইসলাম, গদাইপুর ইউনিয়ন আমীর মাওলানা আব্দুল মজিদ, সেক্রেটারি মাওলানা হাবিবুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো. আখতারুজ্জামান, ইউপি সদস্য মীর আনোয়ার ইলাহি, ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম, হিতামপুর মালোপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দির কমিটির কোষাধ্যক্ষ তরুণ বিশ্বাস, সদস্য মহাদেব বিশ্বাস, কৃষ্ণপদ বিশ্বাস, মোহিতোষ বিশ্বাস, প্রজিৎ বিশ্বাসসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।