রাজনীতি
সাতকানিয়ায় হত্যাকাণ্ড
প্রচারিত বিভ্রান্তিকর সংবাদে জামায়াতের বিবৃতি
সাতকানিয়া উপজেলার চনখোলা গ্রামের দ’জন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছেন জামায়াত নেতৃবৃন্দ। গতকাল মঙ্গলবার সাতকানিয়া উপজেলা
Printed Edition
সাতকানিয়া উপজেলার চনখোলা গ্রামের দ’জন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছেন জামায়াত নেতৃবৃন্দ। গতকাল মঙ্গলবার সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর, সেক্রেটারি, এওচিয়া ও কাঞ্চনা জামায়াতের আমীর, সেক্রেটারি যথাক্রমে মাওলানা কামাল উদ্দিন, মুহাম্মদ তারেক হোছাইন, আবু বক্কর, ফারুক হোসাইন, মাওলানা আবু তাহের, জায়েদ হোসেন এই বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গতকাল (সোমবার দিবাগত রাতে) রাতের হত্যাকাণ্ড একটি পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাকাণ্ড। এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা গ্রাম এটি বহু আগে থেকেই সন্ত্রাস কবল এলাকা। এওচিয়া ইউনিয়ন এর সাবেক চেয়ারম্যান ও সন্ত্রাসী নজরুল ইসলাম প্রকাশ মানিক চেয়ারম্যান ছনখোলা গ্রামের পাহাড়, পাহাড়ি গাছ ও ইটভাটা সমুহ নিয়ন্ত্রণে নিতে একাধিকবার সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। গ্রামের অনেক মানুষ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অসংখ্য মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষের পাহাড়, ভুমি জবর দখল করেছিল।
এলাকার মানুষ তার অত্যাচার নিপীড়নে অতিস্ট হয়ে তাকে বয়কট করে। তৎকালীন আওয়ামী সরকার ও প্রসাশনের সহযোগিতা কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনি। বিগত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী হাসিনার পতনের পর সে এলাকা ছেড়ে আত্নগোপন করলেও তার বাহিনী ধরাছোঁয়ার বাইরে।
মানিকের ভাই হারুন ও মমতাজ প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এই সন্ত্রাসীগন এখনো নানা অপকর্মে জড়িত। গতরাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আওয়ামী দুঃশাসনে নির্যাতিত ও ব্যবসায়ী নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেককে বিচারের কথা বলে ডেকে নিয়ে মাইকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ডাকাত আখ্যাদিয়ে মুলত গণপিটুনির নামে চেয়ারম্যান মানিকের নির্দেশে তার ভাই মমতাজ, হারুনের পরিকল্পনায় কুপিয়ে দুজনকে জঘন্যতম কায়দায় হত্যা করেছে, যা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লংঘন। একইভাবে বিগত ২০১৬ সালে মানিক চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে জামায়াতের কর্মী কাঞ্চনার বশরকে নির্মমভাবে ছনখোলাতে হত্যা করা হয়েছিল।
অবিলম্বে চিহ্নিত খুনীদের গ্রেফতার, ঘটনার গডফাদারদের বিরুদ্ধে মামলা ও বিচারের মাধ্যমে দৃস্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত না করে আসল হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান জামায়াতের এই সেতৃবৃন্দ।