চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মসজিদ ও মাদ্রাসাকে অবমাননা এবং সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে শতাধিক ছাত্রকে মারাত্মকভাবে আহত করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার গতকাল রোববার এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ৬ সেপ্টেম্বর (শনিবার) রাত ৮টার দিকে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত জশনে জুলুসের র‌্যালি হাটহাজারী মাদরাসার সামনে দিয়ে যাওয়ার পথে আরিয়ান ইব্রাহিম নামে এক যুবক মসজিদ ও মাদরাসার দিকে আঙুল তুলে ‘অশোভন অঙ্গভঙ্গি’ করে এবং তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এই আপত্তিকর ঘটনায় মাদ্রাসার ছাত্ররা সংক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানালে সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর নৃশংস হামলা চালায়। এই বর্বরোচিত হামলায় হাটহাজারী মাদ্রাসার শতাধিক ছাত্র গুরুতরভাবে আহত হয়। আমি এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আহতদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি এবং তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ৬ সেপ্টেম্বর (শনিবার) রাত ৮টার দিকে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত জশনে জুলুসের র‌্যালি হাটহাজারী মাদ্রাসার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আরিয়ান ইব্রাহিম নামে এক যুবক মসজিদ ও মাদ্রাসার দিকে অশোভন অঙ্গভঙ্গি করে এবং তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় মাদ্রাসার ছাত্ররা প্রতিবাদ জানালে সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর নৃশংস হামলা চালায়। এই বর্বরোচিত হামলায় শতাধিক ছাত্র গুরুতর আহত হয়। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি এবং তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।

তিনি আরও বলেন, হাটহাজারী মাদ্রাসা দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহত্তম দ্বীনি প্রতিষ্ঠান। সেখানে এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ এবং স্পষ্ট উস্কানিমূলক কর্মকা-। মসজিদ ও মাদ্রাসার মতো ধর্মীয় পবিত্র স্থানে অবমাননা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এগুলো মুসলমানদের ঈমান ও আক্বিদার সাথে সম্পৃক্ত। তাই প্রত্যেকের দায়িত্ব ধর্মীয় পবিত্র স্থানসমূহকে যথাযথ সম্মান জানানো।

তিনি বলেন, এ ধরনের হামলা দেশ ও সমাজে বিভেদ ও সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার অশুভ প্রচেষ্টা। অথচ ইসলামের শিক্ষা হলো শান্তি, সংযম ও সহনশীলতা। আমরা বিশ্বাস করি, উত্তেজনা নয় বরং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহনশীলতার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।

আমি সন্ত্রাসী হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বশীল আচরণ বজায় রাখা এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে, এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

ববি হাজ্জাজকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জামায়াতের তীব্র নিন্দা

এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজকে হত্যাচেষ্টার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ৬ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “দেশকে অস্থিতিশীল করার নীলনকশার অংশ হিসেবেই সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় নেতৃবৃন্দের ওপর ধারাবাহিক হামলা চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি জনাব নূরুল হক নূর ও জাগপার (একাংশ) সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে গুরুতরভাবে আহত করা হয়েছে। ববি হাজ্জাজের ওপর হামলাও সেই ষড়যন্ত্রেরই ধারাবাহিকতা।

তিনি আরও বলেন, “জুলাই আন্দোলন-পরবর্তী বাংলাদেশে এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পরিস্থিতি প্রমাণ করছে, ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলেও তাদের দোসররা দেশে অশান্তি সৃষ্টি ও রাজনৈতিক পরিবেশ অস্থিতিশীল করার গভীর পাঁয়তারা চালাচ্ছে। বিশেষ করে দেশ যখন নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, তখন এসব হামলা জাতির জন্য অশনি সংকেত।

অবিলম্বে ববি হাজ্জাজসহ সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আমি আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

সাংবাদিক সাঈদ খানের নিবন্ধে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে তথ্যসন্ত্রাস চালানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের গত ৬ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার ৬ সেপ্টেম্বর সংখ্যার ৬ষ্ঠ পাতায় ‘নীল নদের পানি নীল নয়’ শিরোনামে জনাব সাঈদ খানের প্রকাশিত নিবন্ধে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে যেসব মনগড়া, বানোয়াট, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক তথ্যসন্ত্রাস চালানো হয়েছে, তার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, নিবন্ধে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো নতুন কিছু নয়। ইসলামবিরোধীচক্র জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য যুগ যুগ ধরে এ ধরনের ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। জামায়াতে ইসলামীর ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যেই বামপন্থী ও ধর্মনিরপেক্ষ মহল এসব অভিযোগকে বারবার সামনে আনে, অথচ আজ পর্যন্ত কোনো আদালতে সেগুলো প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি। বাস্তবে, জামায়াত বারবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে এবং দেশের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ১৯৯১ সালে জামায়াতের নির্বাচিত ১৮ জন সংসদ সদস্য বিএনপিকে সমর্থন দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার গঠনে ভূমিকা রাখেন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারে জামায়াতের দুইজন মন্ত্রী দায়িত্ব পালন করে জাতির উন্নয়নে কার্যকর অবদান রাখেন।

জনগণ অতীতে যেমন এসব অসত্য প্রচারণা প্রত্যাখ্যান করেছে, ভবিষ্যতেও তেমনি প্রত্যাখ্যান করবে ইনশাআল্লাহ। কাজেই মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য জনাব সাঈদ খানকে অনুরোধ করছি। একইসাথে আমি আশা করছি দৈনিক কালের কণ্ঠ কর্তৃপক্ষ এই প্রতিবাদ বিবৃতিটি যথাযোগ্য স্থানে প্রকাশ করে পাঠকদের বিভ্রান্তি দূর করার সুযোগ করে দেবেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ‘নুরাল পাগলার’ লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় জামায়াতের উদ্বেগ

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ‘নুরাল পাগলার’ লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ৬ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিজেকে ‘ইমাম মাহদি’ দাবি করা নুরুল হক ওরফে ‘নুরাল পাগলা’র লাশ কবর থেকে তুলে কথিত ‘ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি’র লোকজন পুড়িয়ে দিয়েছে। নুরুল হক এখন মৃত; তার জীবদ্দশায় যা কিছু করেছেন তার জন্য তিনি আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করবেন। কিন্তু এভাবে লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেওয়া ইসলাম অনুমোদন করে না। এ ঘটনার মাধ্যমে মানবিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ লঙ্ঘিত হয়েছে। আমরা এ ঘটনার প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক ও ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে পরিচালিত একটি আন্দোলন ও দল। সমাজ ও রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কোনো কর্মকাণ্ড জামায়াতে ইসলামী বরদাশত করে না। দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে জামায়াতে ইসলামী সর্বদা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে। তাই এ ঘটনার সাথে জামায়াতে ইসলামীর নাম জড়ানোর চেষ্টা অত্যন্ত দুঃখজনক, অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত।

তিনি বলেন, দেশে আইন ও বিচারব্যবস্থা বিদ্যমান। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা উচিত ছিল। সমাজ ও রাষ্ট্রে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এমন সব কর্মকা- থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি । প্রেস বিজ্ঞপ্তি।