স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর প্রতিষ্ঠিত দল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ভাসানী ন্যাপ এর ১৯তম জাতীয় সম্মেলন দলের প্রধান কার্যালয় (অস্থায়ী) মিরপুর-২ এ অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সারা বাংলাদেশ থেকে আগত কাউন্সিলরদের ভোটে এম.আখতারুজ্জামানকে চেয়ারম্যান, হাসরত খান ভাসানীকে নির্বাহী চেয়ারম্যান ও খালেদ শাহরিয়ারকে মহাসচিব করে ৭১ জন সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম মিয়াজী বলেন, বাংলাদেশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী গণমানুষের রাজনৈতিক পথপ্রদর্শক মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার নিজ হাতে গড়া দল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ভাসানী ন্যাপ এদেশের প্রতিটি গণআন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভাসানী ন্যাপের নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসরত খান ভাসানী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভাসানী ন্যাপের মহাসচিব খালেদ শাহরিয়ার। হাসরত খান ভাসানী বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এদেশের কৃষক-শ্রমিক মেহনতী মজলুম মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভবপর হয়নি। ১৯৫৭ সালে মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর প্রতিষ্ঠিত গণমানুষের দল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রতি এই দেশের মানুষের যে গণআকাক্সক্ষা তৈরী হয়েছে তার প্রতি সম্মান রেখে আমরা গণমানুষের বাংলাদেশ বিনির্মাণের দৃপ্ত শপথ নিয়ে নতুন রূপে হাজির হয়েছি। আশা করি বাংলাদেশের ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে কৃষক-শ্রমিক, ছাত্র-জনতা, পেশাজীবী ও ভাসানী অনুসারীগণ আমাদের এই আহ্বানে সাড়া দিবেন। এই লক্ষ বাস্তবায়নে সকল গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল শক্তিকে সাথে নিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই। সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভাসানী ন্যাপের যুগ্ম মহাসচিব রুবেল সরকার জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান রেজু, ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম শরিফ, অ্যাডঃ জালাল উদ্দিন, অ্যাডঃ হাফিজুর রহমান খান, কোষাধ্যক্ষঃ আব্দুল করিম, দপ্তর সম্পাদকঃ শুকুর মাহমুদ বিজয় প্রমুখ।