ঢাকা ৮ আসনের জামায়াত মনোনীত সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র মতিঝিল, পল্টন, শাহবাগ এবং রমনা এলাকায় কোনো ধরনের চাঁদাবাজি চলবে না। এখানে ব্যবসায়ীরা নির্বিঘেœ ব্যবসা পরিচালনা করবেন। এসব এলাকায় চাঁদাবাজাদের অস্তিত্ব থাকবে না।
শনিবার রাজধানীর ফকিরাপুল, মতিঝিল কাঁচাবাজার, কমলাপুর এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এলাকায় গণসংযোগকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি শামসুর রহমান, মতিঝিল দক্ষিণ থানা আমীর হাফেজ মোতাছিম বিল্লাহ, মতিঝিল পূর্বের থানা আমীর নূরুদ্দীন এবং বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করতে হবে। জনগণের সঙ্গে মিলেমিশে তাদের সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে তাদের আস্থা অর্জন করে জামায়াতের গণভিত্তি মজবুত করতে হবে। আগামী নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। তিনি বলেন, আমরা একটি সুস্থ, সুন্দর, জনকল্যাণমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তিনি বলেন, গত ১৫ বছর দেশে ফ্যাসিস্ট শাসনামলে দেশে চাঁদাবাজি, অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছিল। এ সময় আমাদের ওপর নানাভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। মামলা-হামলা করে আমাদের রুখে দিতে চেয়েছিল। আমাকে সরাসরি গুলি করা হয়েছিল। বার বার জেলে নেওয়া হয়েছে। দুইবার গুম করা হয়েছিল। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে আজ আমরা আবারো স্বাধীনভাবে আপনাদের মাঝে ফিরে এসেছি। আল্লাহর মেহেরবানীতে গতরাতে আল্লাহর ঘর কাবা শরীফ থেকে এসেছি। কাবাঘরে দেশ, জাতির শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করেছি। বিশেষ করে ঢাকা ৮ আসনের বাসিন্দাদের জন্য দোয়া করেছি। তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেছি।
গণসংযোগ চলাকালে ড. হেলাল উদ্দিন পথচারী, দোকানি, শ্রমজীবী, ব্যবসায়ী ও যানবাহনের চালকদের সঙ্গে কথা বলেন। অনেককে তিনি বুকে জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছা জানান, যা জনমানুষের কাছে তার আন্তরিকতা ও মানবিক মনোভাবের স্পষ্ট প্রতিফলন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরেই এলাকাজুড়ে ধর্মীয়, সামাজিক ও জনসেবামূলক কাজে যুক্ত থাকায় তার প্রতি মানুষের আস্থা জন্মেছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
নির্বাচনে সাফল্যের জন্য ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ড. হেলাল উদ্দিন তার নির্বাচনী কৌশলে এটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন। তিনি নিজেই প্রতিটি এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন, যা তাকে অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে আলাদা পরিচিতি দিচ্ছে।
এই গণসংযোগ কার্যক্রম শুধু একটি প্রচারণামূলক পদক্ষেপ নয়, এটি জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক প্রস্তুতিরও প্রতিফলন। বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সক্রিয় এই অংশগ্রহণ দলীয় ঐক্যের বার্তা দিচ্ছে এবং আগামী নির্বাচনে একটি দৃঢ় অবস্থানের ইঙ্গিত দিচ্ছে।