জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৬ বছরেও মানুষের ভাগ্যের কাক্সিক্ষত পরিবর্তন হয়নি। নির্বাচন এলে রাজনৈতিক দলগুলো নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় গিয়ে জনগণের কথা ভুলে গিয়ে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর মানুষের মাঝে পরিবর্তনের আওয়াজ উঠছে। তারা সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজমুক্ত সমাজ চায়। রাষ্ট্রের সকল স্তরের জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে চায়। জনগণের এই প্রত্যাশা পূরণ ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। সিলেট-১ আসনে মাওলানা হাবিবুর রহমানকে বিজয়ী করার মাধ্যমে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজমুক্ত সিলেট গড়া সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার পুরো রাষ্ট্র কাঠামোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ফ্যাসিবাদী সিস্টেমের সংস্কার করতে হবে। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য নির্বাচনের আগে গণভোটের আয়োজন এখন জনদাবীতে পরিনত হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালিন সরকার একটি দলের স্বার্থপূরণে কাজ করার মাধ্যমে সংস্কার প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এদেশে নতুন করে কাউকে ফ্যাসিবাদী হওয়ার সুযোগ জনগণ দিবেনা। পরিবর্তনের এই যাত্রায় আগামী নির্বাচনে ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লাকে বিজয়ী করে বাংলাদেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিনত করার সুযোগ দিন।
তিনি গত শনিবার রাতে সিলেট মহানগরীর জালালাবাদ থানার ৩৭নং ওয়ার্ড জামায়াতের মোহাম্মদী আবাসিক এলাকার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত নির্বাচনি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। মোহাম্মদী আবাসিক এলাকার প্রধান মুরব্বি আব্দুল মতিন শাহীনের সভাপতিত্বে ও ৩৭নং ওয়ার্ড জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল মাজিদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- মহানগর জামায়াতের বায়তুল মাল সেক্রেটারি মুফতী আলী হায়দার, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার, জালালাবাদ থানা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মাসুদ রানা তুহিন, ৩৭নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি আতিকুর রহমান, ৩৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলার রিয়াজ মিয়া, সিলেট বারের বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট আজিম উদ্দিন, থানা নির্বাচন কমিটির সদস্য সচিব ফয়জুল হক, সিলেট সিটি মডেল স্কুলের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক রাজন।
স্থানীয়দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, ফিরোজ আহমদ, সৈয়দ দরবেশ আলী, ফেরদৌস আহমদ, তাজুল ইসলাম, ফয়জুল আলম, হারিছ আলী, আবুল হোসেন মানিক, জয়নাল আবেদীন, সাফওয়ান আহমদ, সুফিয়ান আহমদ, জয়নুল ইসলাম, আব্দুল আহাদ, হুমায়ূন কবির ও মুজাহিদ আলী জীবন প্রমূখ।