জাতীয় নাগরিক পার্টি(এনসিপি) আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, তারা(বিএনপি) ভেবে ছিল ২/৩টা আসন দেখিয়ে ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারা লোভ দেখিয়ে, তারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে কিনে নিবে। কিন্তু যারা বিপ্লবের শক্তি, যারা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে, তাদের কেনার সাধ্য বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলের হয় নাই। হাসনাত আব্দুল্লার বক্তব্যের উদ্বৃত্তি দিয়ে নাহিদ বলেন, ৫আগষ্ট আমরা দরজা খুলে দিয়ে বলেছিলাম আসুন জাতীয় সরকার গঠন করি, দেশকে পুনর্গঠন করি। সকল বিভাজন সবকিছুর উর্দ্ধে গিয়ে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তুলি। কিন্তু তারা আমাদের সেই প্রস্তাবে সাই দেয়নি। তারা বলেছিলো ৩ মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে, আবার বলেছে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। ক্ষমতার ভাগবাটোয়ায় ছাড়া দেশ সংস্কারে তাদের কোন সমর্থন পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, আমরা একনো বলছি, নির্বাচনি ভাগবাটোয়ারা নয়, দেশ সংস্কারে আমাদের দরজা এখনো খোলা আছে, যদি এবার দরজা বন্ধ হয়, তাহলে জনগণ আর আপনাদের ক্ষমা করবে না।
গতকাল শনিবার দুপুর ১ টায় সাতক্ষীরা খুলনা রোড মোড়ে শহীদ আসিফ চত্বরে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির সাতক্ষীরা জেলার সমম্বয়ক কামরুজ্জামান বুলুর সভাপতিত্বে পথ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ন মুখ্য সংগঠক মেজবাহ কামাল ও চিকিংসক তাসনীম জারা। এছাড়া মঞ্চে শ্লোগান দেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। পথসভার আগে শহীদ আসিফ চত্বর এলাকায় জুলাই-বিপ্লবে আহত ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন। পরে একটি পদযাত্রা শহীদ আসিফ চত্বর থেকে বের হয়ে নিউমার্কেট মোড়ে শেষ হয়। এরপর নিউমার্কেট এলাকায় আল বারাকা হোটেলের দ্বিতীয় তলায় জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
সাতক্ষীরার জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, আপনারা উপকূলের মানুষ। ঘূর্ণিঝড় আর
দুরে্যাগের মধ্যেও দেশকে পাহারা দিয়েছেন। অথচ এখানকার মানুষ এখনও রেললাইনের সুবিধা পায়নি। ৫৪ বছরেও সাতক্ষীরায় রেললাইন পৌঁছায়নি-এটি লজ্জাজনক।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগের যে অব্যবস্থা সাতক্ষীরায় বিদ্যমান, তা পরিবর্তনের সময় এখনই। জলবায়ু পরিবর্তন, উপকূল সুরক্ষা এবং সুন্দরবন রক্ষায় জাতীয় নাগরিক পার্টি সক্রিয়ভাবে কাজ করবে। সাতক্ষীরার মাটি ও মানুষের অধিকার রক্ষাই হবে আমাদের অগ্রাধিকার।
দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, চাদাকাজ নির্মূলে গ্রামে গ্রামে, পাড়া মহল্লায় কমিটি গড়ে তুলতে হবে।