বাংলাদেশজামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর, ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, গণভোটের মাধ্যমে জুলাই ঘোষণাপত্রের আইনি ভিত্তি দিয়ে ছাত্র-জনতার প্রত্যাশিত নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে। জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা না করতে তিনি অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনাদেরকে কোন দল কিংবা ব্যক্তি ক্ষমতায় বসায়নি, ক্ষমতায় বসিয়েছে দুই সহস্রাধিক শহীদ ও ৫০ হাজারের অধিক আহত ছাত্র-জনতা। তাই কোন দলের প্রতি আনুগত্য না করে, ছাত্র-জনতার দেওয়া মহান পবিত্র দায়িত্বকে ইনসাফ ও ন্যায়ের ভিত্তিতে পালন করতে হবে। জুলাই চেতনা বাস্তবায়নে সরকারকে জামায়াতে ইসলামীসহ গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলো সহযোগিতা করলেও একটি দলের চাপে সরকার জন-আকাঙ্ক্ষার বিপক্ষে যেতে পারে না। যদি সরকার কোনো দলের চাপে কিংবা কোনো দলকে বিশেষ সুবিধা দিতে জুলাই চেতনার পরিপন্থি কাজ করে তবে সরকারের জন্য সেটি শুভ হবে না।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে শাহবাগ মানব কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ পূর্বক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি উপস্থিত তরুণ ও যুব সমাজের উদ্দেশ্যে বলেন, জাতির ক্লান্তিকালে বরাবরই যুব সমাজ তরুণ প্রজন্ম প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। জুলাই আন্দোলনেও তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বেই জাতি ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের বৈষম্যহীন, ইনসাফ ও ন্যায় বিচারের নতুন বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতে ইসলামী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই তিনি জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলেই জনগণের সরকার গঠিত হবে উল্লেখ করে ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, বিগত ৫৪ বছরেও দেশের জনগণের মতামতের সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি। যখন যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে সংবিধানকে নিজেদের মত রচনা করেছে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কোন সরকার ভূমিকা রাখেনি। বরং জনগণের অধিকার হরণ করা হয়েছে। পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিটি ভোটের মূল্যায়ন হয়। এজন্য পিআর পদ্ধতির বিকল্প আর কোন নির্বাচন ব্যবস্থা হতে পারে না। তাই আগামী নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে দেশের ৭১ শতাংশ জনগণ চাইলেও সরকার এবিষয়ে উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছে। অনতিবিলম্বে নির্বাচন ব্যবস্থা পিআর পদ্ধতি চালু করতে তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

শাহবাগ মানব কল্যাণ সংস্থার সভাপতি আহসান হাবীবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্রীড়া অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এস. আই. এম ফেরদৌস আলম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মেজবাহ উদ্দিন সাঈদ, ঢাকা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা সুমন কুমার মিত্র।