ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও নারায়নগঞ্জ মহানগর আমীর, জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থী মাওলানা আবদুল জব্বারের নেতৃত্বে দাঁড়িপাল্লার সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারণার অংশহিসেবে আজ হাজারের অধিক মোটর সাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) শোভাযাত্রাটি সিদ্ধিরগঞ্জ কাঁচপুর ব্রিজের নিচ থেকে শুরু করে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়ক হয়ে ফতুল্লা, পঞ্চবটি হয়ে চাষাঢ়ায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে শহরের নিতাইগঞ্জ, সৈয়দপুর, বন্দর- লাংগলবন্দ- মদনপুর, কাচপুর চিটাগাংরোড হয়ে পাঠানটুলি হাজীগঞ্জ নতুন রাস্তা মোড়ে এসে শেষ হয়।
বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার বলেন, শেখ হাসিনা দেশে হত্যা, খুন ও নৈরাজ্যের মাধ্যমে পরিচালনা করেছিল। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দিল্লিতে বসে দেশে ফিরে আশার পরিকল্পনা করছে। তাদের বলতে চাই আগামীর বাংলাদেশে কোন সন্ত্রাসীদের স্থান হবে না। আগামীর দেশ হবে শান্তিপূর্ণ ও মানুষের অধিকার পূরনের একটি সম্মৃদ্ধ দেশ। সেই দেশে যারা সন্ত্রাসী ও মানুষের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি করবে তাদেরকে এই দেশে থেকে বিতাড়িত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের পূর্বে গণভোটের কথা বলেছি, কিন্তু এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের দিনে গণভোটের আয়োজন করার ঘোষণার মাধ্যমে পুরো জাতি হতাশ হয়েছে। কারণ নির্বাচনের দিন সকলে ভোট নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যে শতশত ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছিল, সেই জীবনের যে ম্যান্ডেট সেটি ভূলুণ্ঠিত হবে।
জামায়াতের মহানগর আমীর আরও বলেন, এখনও সময় আছে সুষ্ঠু একটি নির্বাচন ও আগামীতে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির মাধ্যমে নতুন একটি বাংলাদেশ বিনির্মানের জন্য ব্যবস্থা করবেন। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও হানাহানি বাদ দিয়ে সকলে মিলে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলব।
বক্তব্যে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার কারণে সড়কে ভোগান্তির বিষয়টি উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেন মহানগর জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার।
এরপর নারায়ণগঞ্জ-৩ সংসদীয় আসনে ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে সোনারগাঁ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ সদসদীয় আসনে মইনুদ্দিন আহমাদের নেতৃত্ব সদর-বন্দরে নির্বাচনী এলাকায় পৃথক শোডাউন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগরী সাবেক আমীর, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী মাওলানা মইনুদ্দিন আহমাদ, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের প্রার্থী ড. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া, মহানগরী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারি এইচ এম নাসির উদ্দিন, জেলা সহকারি সেক্রেটারি আবু সাঈদ মুন্না, মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য মো. জাকির হোসাইন, এডভোকেট মাইন উদ্দিন মিয়া, মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি হাফেজ আব্দুল মোমিন, জামায়াতে ইসলামীর থানা আমির সেক্রেটারি ও অন্যান্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।