বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের জননন্দিত নেতা মোঃ মোবারক হোসাইন বলেছেন, “ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে মানবতার সেবা প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে ইনশাআল্লাহ।” তিনি দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্ত করেন যে ইসলামই একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যেখানে ন্যায়, সমতা ও কল্যাণের সুস্পষ্ট নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সমাজে দুর্নীতি, বৈষম্য ও অবহেলার কারণে সাধারণ মানুষ ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হলেও ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত হবে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজধানীর মোহাম্মদপুর মধ্য থানা আয়োজিত এলাকার সম্মানিত নাগরিকদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইসলামের মূল চেতনা হলো মানবসেবা। ক্ষুধার্তকে আহার করানো, অসহায়কে সহায়তা করা, এতিম-দরিদ্রের পাশে দাঁড়ানো এবং প্রতিটি নাগরিককে মর্যাদাপূর্ণ জীবন উপহার দেওয়া ইসলামের মৌলিক শিক্ষা। ইসলামী রাষ্ট্র হলে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও সামাজিক নিরাপত্তা হবে মানুষের মৌলিক অধিকার, কোনো施া নয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে গড়ে উঠবে এক মানবিক সমাজ যেখানে ধনী-গরিবের ব্যবধান দূর হবে এবং আল্লাহর কল্যাণ প্রতিটি ঘরে পৌঁছে যাবে।
মতবিনিময় সভাটি মহানগরী মজলিসে সুরা সদস্য ও থানা আমীর মোঃ মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মোঃ ইমরান আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৩ আসনের নির্বাচনী পরিচালক ডাক্তার শফিউর রহমান, ৩১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ড. মঈন উদ্দিন আহমেদ এবং জামায়াতের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তব্যের শুরুতে স্থানীয় জনগণের নানা প্রশ্ন ও পরামর্শের জবাব দিতে গিয়েই মোঃ মোবারক হোসাইন বলেন, “মানবিক সেবায় রাষ্ট্রের যে বরাদ্দ জনগণের জন্য থাকে, তা দুর্নীতির কারণে মানুষের কাছে পৌঁছায় না। এর একমাত্র কারণ ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার অনুপস্থিতি।” তিনি ঘোষণা দেন, জনগণের সমর্থনে যদি জামায়াত ক্ষমতায় আসে তবে প্রতিটি নাগরিকের প্রাপ্য অধিকার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে, ইনশাআল্লাহ।
তিনি ঐতিহাসিক উদাহরণ টেনে বলেন, খলিফা হযরত ওমর (রা.)-এর শাসনামলে যেমন প্রতিটি ঘরে ন্যায়বিচার ও সেবার নিশ্চয়তা ছিল, আমরাও সেই আদর্শ বাস্তবায়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। দুর্নীতি, বৈষম্য ও অবহেলা দূর করে একটি সত্যিকারের কল্যাণময় রাষ্ট্র গড়াই আমাদের লক্ষ্য।
শেষে তিনি বলেন, “ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে আর কোনো মানুষ অধিকার বঞ্চিত হবে না; বরং ন্যায়, সমতা ও মানবতার আলো প্রতিটি ঘরে ছড়িয়ে পড়বে, ইনশাল্লাহ।