বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, জামায়াতে ইসলামীর ২ জন শীর্ষ দায়িত্বশীল শহীদ আমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও শহীদ সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ ৩ টা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনে দুর্নীতি ও অনিয়ম মুক্ত করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাদেরকে দূর্নীতির কোনো কালিমা লেপন করতে পারেনি তৎকালীন সরকার। জামায়াতে ইসলামী দুর্নীতি, অনিয়ম ও টেন্ডারবাজি সহ যাবতীয় অনিয়মের বিরুদ্ধে আপোষহীন। জামায়াতের নেতা-কর্মীরা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জীবন দিতে প্রস্তুত।
তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামীর ওপর বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার সাড়ে ১৫ বছর জুলুম নির্যাতনের নির্মম স্টিম রোলার চালিয়েছে। শীর্ষ পর্যায়ের ১১ জন নেতৃবৃন্দকে বিচারিকভাবে শহীদ করে দেয়া হয়েছে। শত শত নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। লক্ষাধিক নেতা-কর্মীদের আটক করে জেলখানায় নির্মমভাবে কষ্ট দিয়েছে। এরপরও জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের জনশক্তি অটল ও অবিচল থেকে আন্দোলন সংগ্রামের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধান অতিথি আরো বলেন, নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন আগে সম্পন্ন করা দরকার। জাতীয় নির্বাচনের পর ক্ষমতাসীন দল প্রভাব বিস্তার করে নিজেদের লোককে বিজয়ী করতে নির্বাচন প্রক্রিয়া ও প্রশাসনকে প্রভাবিত করে। সেজন্য স্থানীয় নির্বাচনের পরে অনিবার্য ও কাক্সিক্ষত সংস্কার, ফ্যাসিস্টদের বিচারের পরেই জাতীয় নির্বাচন করা দরকার। তিনি আরো বলেন, অনতিবিলম্বে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি, জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দিনাজপুর জেলা শাখার উদ্যোগে বিরামপুর আদর্শ হাইস্কুল মিলনায়তনে ১৬ মার্চ, রোববার, দিনব্যাপী রুকন শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আমীর অধ্যক্ষ আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মুহাদ্দিস ডক্টর এনামুল হকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা পেশ করেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা পেশ করেন সাবেক জেলা আমীর আনোয়ারুল ইসলাম।
অন্যান্যের মধ্যে বিষয়ভিত্তিক ও গ্রুপ আলোচনায় মেহমান হিসেবে ছিলেন জেলা সহকারী সেক্রেটারি ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান পলাশ, সহকারী সেক্রেটারি সাইদুল ইসলাম সৈকত, জেলা তারবিয়্যাত সেক্রেটারি মাওলানা রবিউল ইসলাম, অধ্যক্ষ মাওলানা একেএম আফজালুল আনাম, অধ্যাপক এস এম ইব্রাহীম, অফিস সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম খোকন, আনোয়ার হোসেন ও আলমগীর হোসেন প্রমুখ। শিক্ষা শিবিরে ফুলবাড়ী, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট, পার্বতীপুর ও চিরিরবন্দর উপজেলার উপজেলা আমীর ও সকল রুকন উপস্থিত ছিলেন।