দেশ ও জাতিসত্তাবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ ও জামায়াতের ৭ দফা বাস্তবায়ন করতে আগামী ১৯ জুলাইয়ের জাতীয় সমাবেশ সর্বাত্মকভাবে সফল এবং স্মরণকালের বৃহৎ সমাবেশে পরিণত করার জন্য ময়দানে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মোহাম্মদপুর জোন জামায়াত আয়োজিত ১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়ন উপলক্ষে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মহানগরী সেক্রেটারির সাথে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদপুর জোনের সহকারি পরিচালক ডা. শফিয়ার রহমান, জামায়াত নেতা আবদুল হান্নান ও মশিউর রহমানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

ড. রেজাউল করিম বলেন, ১৯ জুলাই আমরা এমন এক কার্যকরি জাতীয় সমাবেশ করতে চাই, যে সমাবেশের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থার সংকট দূর হবে। অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা জনগণের সাথে ওয়াদা ভঙ্গ, দুর্নীতি-দুঃশাসন, লুটপাট, অর্থপাচার, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, খুন, ধর্ষণ ও মানুষের অধিকার হরণ ছাড়া কিছুই দিতে পারেনি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যারা ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, অতি উচ্চভিলাষী ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হওয়ায় তারাও ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা হারাতে শুরু করেছেন। তাদের মন-মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তন হওয়া জরুরি হলেও তারা এখনো অতীতের অশুভ বৃত্তেই রয়ে গেছেন। তাদের দলের কর্মীরা এখন চাঁদাবাজী সহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েছেন। চাঁদা না দেওয়ার মানুষকে জীবন দিতে হচ্ছে। ৯ তারিখের মিটফোর্ডের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তার জলন্ত প্রমাণ। তিনি সময় থাকতে শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে সংশ্লিষ্টদের ইতিবাচক রাজনীতিতে ফিরে আসার আহবান জানান। অন্যথায় তাদেরকে পতিতদের ভাগ্য বরণ করতে হবে।

তিনি বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানুষ এখন বিকল্প শক্তির সন্ধান করছে। তারা এখন জামায়াতে ইসলামীকেই বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা দেশ ও জাতির যেকোনে ক্রান্তিকালে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমাদের কর্মীদের সব সময় নৈতিক শিক্ষা দিয়ে থাকি। দায়িত্ব ও নেতৃত্বদানের উপযোগী করে গড়ে তুলি। সততা, আমানতদারীতা ও নৈতিক মূলবোধ্যে উদ্বুদ্ধ করি। তিনি দেশের রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন প্রসঙ্গে বলেন, দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই দেশে রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে। এজন্য পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়া দরকার। বিশ্বের ৯২ টি দেশের এ পদ্ধতির নির্বাচন চালু আছে। এ পদ্ধতির নির্বাচন চালু হলে দেশে হুন্ডা, গুণ্ডা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও কেন্দ্র দখল বন্ধ হবে। কিন্তু একটি পক্ষ তা চায় না। কারণ, তারা মনোনয়ন বাণিজ্যে অভ্যস্ত। তাই নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে করতে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।