বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, অতি সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর নিকট প্রমাণিত হয়েছে যে, খুনি শেখ হাসিনার নির্দেশেই দেশে সকল গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে ও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে গণহত্যাকারী এবং এর সাথে সংশ্লিষ্টদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। দেশবাসী মনে করে, গণহত্যার সাথে সংশ্লিষ্ট আওয়ামী লীগ এ দেশে নির্বাচন ও রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা সুুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই তবে আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। জামায়াতের দাবি সংখানুপাতিক হারে নির্বাচন। এতে ছোট বড় সকল দল সংসদে প্রতিনিধিত্ব করে দেশ গড়ার কাজে অংশ গ্রহণ করতে পারবে। জনআকাক্সক্ষার প্রতিফলন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীও আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায়।
গতকাল শনিবার সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার উদ্যোগে স্থানীয় সম্মেলন কক্ষে সদস্য (রুকন) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আমীর অধ্যাপক সৈয়দ মোঃ আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে একটি অবরুদ্ধ পরিবেশে ছিল। ফ্যাসিস্ট খুনি আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সকল অফিস বন্ধ করে রেখেছিলো। জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে শহীদ করা হয়েছে। দুই সহস্রাধিক নারীসহ লক্ষাধিক নেতাকর্মীকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে রিমান্ডের নামে নির্মম নির্যাতন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জামায়াত দেশে একটি বৈষম্যহীন, ন্যায় ও ইনসাভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এজন্য বাংলাদেশের ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের ব্যাপক সমর্থন অর্জনে সংগঠনের জনশক্তিকে ভূমিকা পালন করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে একটি সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির নমুনা রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করবে, ইনশাআল্লাহ; যেখানে ধর্মীয় বিভেদের কোনো ঠাঁই থাকবে না।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরী। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, জামায়াতকে ভোট দিলে খাগড়াছড়িকে একটি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত এবং বৈষম্যহীন খাগড়াছড়ি হিসেবে উপহার দেয়া হবে।
জেলা সেক্রেটারি মিনহাজুর রহমানের পরিচালনায় রুকন সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইউসুফ, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল হোসেন, মোঃ আব্দুল মান্নান, মোহাম্মদ ইলিয়াসসহ জেলা এবং উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।