বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু “জামায়াতে ইসলামীর যে প্রার্থী তার স্ত্রী যদি তার সামনে প্রকাশ্যে ভোট না দেয়, গোপনে দিতে পারে, দেখবেন সে ভোট ধানের শীষে দিবে। আমি এটা নিশ্চিত এই কারণে তাদের উপরে যে অত্যাচার করা হয় পারিবারিকভাবে, সেটি বাইরের মানুষ জানলে এটা অমানবিক’ মর্মে যে মন্তব্য করেছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর খুলনা মহানগরী ও জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, “গত ২৯ মে (বৃহস্পতিবার) বিকেলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে আলোচনা সভায় শামসুজ্জামান দুদু’র এমন বক্তব্য অনাকাঙ্খিত অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক।

নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে দেশকে যখন ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা, সেই মুহূর্তে তার এই বক্তব্য জাতীয় ঐক্যবিরোধী এবং দুরভিসন্ধিমূলক। দেশবাসী মনে করে, এ ধরনের বক্তব্য সৌজন্যতা ও রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে রাজনীতি করে। জামায়াত দেশের মানুষের অধিকার, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আপসহীনভাবে লড়াই করে যাচ্ছে। তার এইসব কথার কোনো ভিত্তি নেই। জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। জামায়াতের এই ভূমিকা গোটা জাতি গ্রহণ করেছে। আর এ কারণেই সম্ভবত জনাব দুদু’র গাত্রদাহ সৃষ্টি হয়েছে। দুদু’র এমন বক্তব্য অনাকাঙ্খিত অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক। অনতিবিলম্বে অনভিপ্রেত এমন বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন খুলনা মহানগরী ও জেলা জামায়াত নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিদাতারা হলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান। নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, জনাব শামসুজ্জামান দুদু’র মতো একজন সিনিয়র রাজনীতিবিদ এর বক্তব্যের মধ্যে সত্যের লেশমাত্রও নেই। তার এ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বক্তব্যে আমরা বিস্মিত। তার এ বক্তব্য বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্রকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, তার ঐ বক্তব্য বিএনপির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য; জামায়াতে ইসলামীর ক্ষেত্রে নয়। তাই ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে বিএনপির নেতা জনাব শামসুজ্জামান দুদু দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করতে পারবেন না। অতএব নিজের মান সম্মানের কথা চিন্তা করেই জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা ও কাল্পনিক বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকার জন্য নেতৃবৃন্দ জনাব শামসুজ্জামান দুদু’র প্রতি আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।