রমযানের প্রথম দিনেই এতিম শিশুদের সাথে ইফতার করলেন জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে এতিম শিশুদের সাথে ইফতার মাহফিল পুরানা পল্টনে এক অভিজাত কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় ইফতার পূর্বক এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভাপতির বক্তব্যে মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, রমযানের প্রথম দিনেই এতিম শিশুদের জন্য ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে যাতে করে এই কোমলমতি শিশুরা পিতা-মাতার শূন্যতা উপলব্ধি করতে না পারে। যারা এই এতিম শিশুদের লালন-পালন করছে শুধু তাদের নয় রাজনৈতিক দলগুলোরও দায়িত্ব এই শিশুদের পাশে থাকা। মহানবী (সা.) এতিমদের প্রতি সদয় হতে বলেছেন। জামায়াতে ইসলামী মনে করে এতিম, পথশিশু, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের উপর আমাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। আমরা সেই দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে আজ একত্রিত হয়েছি। আমরা আমাদের দায়িত্ববোধ থেকে শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের কাজ করছি। ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণে আমাদের প্রতিষ্ঠিত ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়াও আমরা মুসলিম শিশুদের বিনামূল্যে সুন্নতে খৎনার আয়োজন করে আসছি। এসময় তিনি জামায়াতে ইসলামীকে অনুসরণ করে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও সামাজিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

সভায় কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির বলেন, রমযান হচ্ছে নিজেদেরকে সংশোধন করে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য। আত্ম পরিশুদ্ধতা জন্য। আল্লাহর আদেশ-নিদের্শ যথাযথভাবে পালন করতে হবে। রমযানের শিক্ষা ধারণ করে নিজেকে গড়তে হবে। তিনি আরো বলেন, মহানবী (সা.) এতিম শিশুদের সবচেয়ে বেশি ভালোবেসেছেন। এতিমের সম্পদ ভক্ষণকারীদের কঠোর শাস্তির কথা জানিয়েছেন। বিত্তবানদের, এতিম শিশুদের দায়িত্ব নিতে বলেছেন। নবীর সেই শিক্ষায় জামায়াতে ইসলামী আজ রমযানের প্রথম দিনে এতিম শিশুদের সাথে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে। শুধু তাই নয় জামায়াতে ইসলামী এতিম, পথশিশু ও দরিদ্র-অসহায় পরিবারের শিশুদের জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করণে কাজ করছে। এটি সারাবছর ধরে চলমান থাকে।

কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, রমযানের এক মাস মানুষ নিজেকে যেভাবে পরিচালনা করে পুরো বছর একইভাবে পরিচালনা করলে সমাজ আলোকিত হবে। আমাদের মানবীয় দায়িত্ব নিজেদেরকে সমাজের কল্যাণে নিয়োজিত করা। রমযানের শিক্ষায় নিজেদেরকে তৈরি করতে হবে। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে মোহাম্মদ কামাল হোসাইন ও শামসুর রহমান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদের সদস্য ও ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা মোশাররফ হোসেন প্রমুখ। বক্তরা রমযানের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজিলত তুলে ধরে বলেন, রমযান মাস মানুষকে পরিশুদ্ধির জন্য দেওয়া হয়েছে। নিজেদেরকে এমনভাবে পরিশুদ্ধতায় পৌঁছাতে হবে যাতে করে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখা যায়।

সভা শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় ইফতার পূর্ব দোয়া মুনাজাত পরিচালনা করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল। এসময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের অফিস সেক্রেটারি কামরুল আহসান হাসান, কর্মপরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, সৈয়দ সিরাজুল হক, শাহীন আহমেদ খান, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সহকারী সম্পাদক আব্দুস সাত্তার সুমন সহ মহানগরীর নেতৃবৃন্দ। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।