বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। ঠিক তখনই একটি গোষ্ঠী চাচ্ছে এখনই নির্বাচন দিতে হবে। তাদের দাবি হচ্ছে সংস্কারের কোনো দরকার নাই, নির্বাচন দাও! আমরা ক্ষমতায় যাই। জনগণকে আর ধোঁকা দেওয়া যাবে না। বিশ্বায়নের যুগে মানুষ এখন খুবই সচেতন। মানুষ বাস্তবতা বোঝে, তাই মানুষ যেভাবে চায় সেভাবেই রাজনীতি করতে হবে। নিজের জন্য এবং দলের জন্য রাজনীতি পরিহার করে জনগণের কল্যাণে দেশ ও জাতির স্বার্থে রাজনীতি করতে হবে। তিনি, সকল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ভুলে গিয়ে জাতীয় ঐক্যের মধ্য দিয়ে কুরআনের বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রতি আহ্বান জানান। খুলনা জেলার ভান্ডারপাড়া, সাহস ও শারাপপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে স্থানীয় উলা মাদরাসা ময়দানে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।

ভান্ডারপাড়া ইউনিয়ন আমীর মাওলানা কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা রবিউল ইসলামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, সেক্রেটারি মুন্সী মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মুন্সী মঈনুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, সেক্রেটারি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি আব্দুর রশিদ বিশ্বাস, ও মাওলানা ফরহাদ আল মাহমুদ, মাওলানা সফিকুল ইসলাম, ড. একরাম উদ্দীন সুমন, খুলনা উত্তর জেলা ছাত্রশিবির নেতা মুহাম্মদ মুমিনুর রহমান ও মুহাম্মদ শাহজালাল, ডুমুরিয়া উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ সভাপতি মাওলানা মনিরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা ইলিয়াস হোসেন, ডুমুরিয়া হিন্দু কমিটির সভাপতি বাবু কৃষ্ণ নন্দী, মুহাম্মদ আব্দুল হান্নান, আব্দুল হাকিম, মাওলানা মোসলেম উদ্দিন প্রমুখ।

সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, মাহে রমযান হচ্ছে মানবতার মুক্তিসনদ মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাজিলের মাস। এই মাসে নিজেদের পরিপূর্ণ মুত্তাকি হিসেবে গড়ে তোলার শপথ নিতে হবে। এই মাসে কুরআন-হাদিসের আলোকে জীবন পরিচালনার পাশাপাশি ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সবাইকে কাজ করতে হবে। মাহে রমযানের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে জাতীয় ঐক্য অটুট রেখে দেশে ইসলামি জাগরণ তৈরির সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। ৫ আগস্ট-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘রমযান হচ্ছে বদরের মাস, কদরের মাস। এই মাসে ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের শপথ নিতে হবে। নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিতে হবে। এ দেশে ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের আর কোনও সুযোগ দেওয়া হবে না। দেশপ্রেমিক জনতাকে ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াতে হবে। সর্বোপরি সত্যিকারের মুক্তির জন্য কুরআনের সমাজ বিনির্মাণের বিকল্প নেই। সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে আমাদের পথচলা অব্যাহত থাকবেই ইনশাআল্লাহ।’