বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, ষড়যন্ত্র করে জামায়াতের অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করা যায়নি। বর্তমানেও কোন ষড়যন্ত্র হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।’ তিনি আরো বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়কে নস্যাৎ করার জন্য দেশি-বিদেশী বহুমুখী চক্রান্ত চলছে। সেই অপতৎপরতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে। কোনো দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ এবং সন্ত্রাসী এই বিজয়কে নস্যাৎ করতে পারবে না। গণঅভ্যুত্থানের অর্জনকে কোনো অপশক্তি নষ্ট করতে চাইলে জামায়াতে ইসলামী ও দেশপ্রেমিক সচেতন নাগরিকেরা তা প্রতিহত করবে, ইনশাআল্লাহ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানার ১ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ইউনিট প্রতিনিধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।

ওয়ার্ড আমীর রেজাউল কবিরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা সেলিম রেজার পরিচালনায় খুলনা মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, দৌলতপুর থানা আমীর মুশাররফ আনসারী, সেক্রেটারি মাওলানা মহিউদ্দিন, মহানগরী ব্যবসায়ী থানার সেক্রেটারি আজিজুর রহমান স্বপন, জামায়াত নেতা ইসমাইল হোসেন পারভেজ।

অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর অপ্রতিরোধ্য ইসলামী আন্দোলনের অগ্রযাত্রা, জনপ্রিয়তা, গণজাগরণ প্রতিরোধ করতে সব সময় একটা শক্তি, একটা মহল, স্বাধীনতা আর মুক্তিযুদ্ধকে জামায়াতে ইসলামীর বিপক্ষে দাঁড় করানোর একটা অপচেষ্টা করে থাকে। আওয়ামী লীগ এ কাজে সিদ্ধহস্ত। তারা বিদায় নিয়েছে। এমনকি তাদের কায়ক্রমও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ছাড়াও ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগ্রামে আমরা যারা রাজপথে ছিলাম, সেই সংগ্রামী নেতাদের মধ্য থেকেও কিছু লোকের জামায়াত বিরোধিতার কথাগুলো, ভাষাগুলো আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ভাষার সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। কিন্তু তারা ভুলে যান-স্বৈরাচারবিরোধী, ফ্যাসিবাদবিরোধী, ভোটাধিকারের আন্দোলনে তাদের সঙ্গে থাকলে, তখন বলে আমাদের সঙ্গী। না থাকলে বলে এরা জঙ্গি। সঙ্গে থাকলে আমাদের সব গুনাহ মাফ।

জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়ে মহানগরী আমীর বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে সবচেয়ে মজলুম দল ছিল জামায়াত। দলের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ শীর্ষ নেতাদের বিচারের নামে ফাঁসি দেয়া হয়। দলকে নেতৃত্ব শূন্য করতে নেতাকর্মীদের জেলে দেয়া হয়। গত ১৩ বছর ধরে এটিএম আজহারুল ইসলাম বন্দি। অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময় বেগম খালেদা জিয়াসহ অনেক নেতাকর্মী ছাড়া পেয়েছেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি ও জামায়াতের নিবন্ধন, প্রতীক এখনও ফেরত দেয়া হয়নি।