জামায়াত দেশে দূর্নীতি, চাঁদাবাজমুক্ত ও সুখী সমৃদ্ধ শান্তির সমাজ কায়েম করতে আপোষহীন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা-১২ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সাইফুল আলম খান মিলন।

আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মগবাজারস্থ আল ফালাহ মিলনায়তনে হাতিরঝিল জোন জামায়াত আয়োজিত এক রুকন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জোন পরিচালক হেমায়েত হোসাইনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য ও তেজগাঁও থানা দক্ষিণের আমীর ইঞ্জিনিয়ার নো’মান আহমেদী, হাতিরঝিল পূর্ব থানা আমীর হবিগঞ্জ-২ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট শেখ জিল্লুর রহমান আজমী, হাতিরঝিল অঞ্চলের টীম সদস্য ইউসুফ আলী মোল্লা, তেজগাঁও থানা উত্তর আমীর হাফেজ মাওলানা আহসান উল্লাহ, হাতিরঝিল পশ্চিম থানা ভারপ্রাপ্ত আমীর নূরুল ইসলাম আকন্দ, শিল্পাঞ্চল থানা আমীর কলিম উল্লাহ, শেরেবাংলা নগর দক্ষিণ থানা আমীর আবু সাঈদ মণ্ডল প্রমূখ।

সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদের সৃষ্টি হয়েছিলো। বিপ্লবোত্তর প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার, জুলাই গণহত্যাকারী বিচারের পর একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও মহল বিশেষের হঠকারিতার কারণেই অন্তর্বর্তী সরকার সে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারছে না। ফলে জুলাই বিপ্লবই ব্যর্থ হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কিন্তু সচেতন ছাত্র-জনতা এসব ষড়যন্ত্র কোনভাবেই মেনে নেবে না বরং প্রয়োজনে আবারো রাজপথে নেমে সকল গণদাবি আদায় করেই ছাড়বে। তিনি প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার, জুলাই সনদের সাংবিধানিক ভিত্তি দিতে নির্বাচনের আগেই গণভোট, গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান হওয়ার পর পিআর পদ্ধতি নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহবান জানান।

তিনি বলেন, এদেশের মানুষ আর অপশাসন-দুঃশাসন ও স্বৈরাচারি-ফ্যাসিবাদী শাসনে ফিরে যেতে চায় না। কারণ, তারা স্বাধীনতার পর সুশাসন ও জনগণের ভাগের পরিবর্তের নামে লুটেরাদের লুটপাট ও লাগামহীন জুলুমবাজী দেখছে। তাই তারা এখন পরিবর্তন চায়। দেশের মানুষ এখন আর পুরাতন প্রতীকে ভোট দিয়ে নতুন করে প্রতারিত হতে চান না। কারণ, তারা উপলব্ধি করতে পেরেছে যে, অতীতের শাসকরা জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তনের কথা বলে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করে নিয়েছে। তাই তারা এখন দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের অনুকূলে গণজোয়ার সৃষ্টি নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারে শরীক হতে চায়।

তিনি দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র, দুর্নীতি ও ঘুষ করে করে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে জামায়াত প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে ময়দানে আপোষহীন থাকার আহবান জানান।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, আগামী নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রশাসন থেকে দলবাজদের তাড়িয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ লোকদের দিয়ে জনপ্রশাসন পুনর্গঠন করতে হবে। জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি দিতে সংসদ নির্বাচনের আগেই গণভোট এবং সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করতে হবে। তিনি দেশ বিরোধী যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সকলকে যেকোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহবান জানান।