# এককোটি দশ লাখ প্রবাসীকে ভোটার করার আহ্বান
# জাতীয় নির্বাচন এপ্রিলের পরে গেলে ঠিক হবে না
বাংলাদেশের ওপর কারো আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেছেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সহজ সম্পর্ক রক্ষার পক্ষে জামায়াত। বাংলাদেশকে ন্যায্য সম্মান দিতে হবে। তিনি বলেন, সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে সক্ষমতার প্রমাণ করতে হবে। ফ্যাসিস্টের পতন হলেও ফ্যাসিবাদের কালো ছায়া এখনও রয়ে গেছে বলেও জানান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর। তিনি বলেন, ফ্যাসিজমের বিলোপে প্রয়োজন অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। যার মাধ্যমে একটি ন্যায্য সরকার গঠিত হবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কীভাবে হবে- প্রশ্ন রেখে শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াতের আমির গোলাম আযম কেয়ারটেকার সরকারের রূপরেখা দিয়েছিলেন। এর ভিত্তিতে একানব্বইয়ের নির্বাচন হয়। যা বাংলাদেশের সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন। আওয়ামী লীগকে আজীবন ক্ষমতায় রাখতে আদালতের মাধ্যমে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা খতম করা হয়েছিল। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ধ্বংস করতে কেয়ারটেকার ব্যবস্থা খতম করা হয়েছিল। এর পরিণতি বাংলাদেশ ১৫ বছর ভোগ করেছে।
জামায়াত আমির বলেন, বিগত দিনগুলোতে দফায় দফায় আমাদের উপরে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক ও অন্যায্য বোঝা চাপানো হয়েছে। আমাদের গতিপথ স্তব্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। সর্বশেষ আঘাত আসে বিগত সরকার আমলে ২০১০ সালের ২৯ জুন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত। আমাদের শীর্ষ এগারো নেতাকে বিচার ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের নিবন্ধন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। খাবারের টেবিল থেকে তুলে নিয়ে রাষ্ট্রদোহী মামলা দেওয়া হয়েছে। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। অসংখ্য মানুষ গুম করে আয়নাঘরে বন্দি রেখে বছরের পর বছর শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। আমাদের অফিসগুলো তালাবদ্ধ রাখা হয়েছিলো। নিজের ঘরেও আমরা শান্তিতে থাকতে পারি নাই। দেশের আলেম ও সাংবাদিক সমাজও রেহাই পায়নি। সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এখনও বেদনাদায়ক হয়ে আছে।
দেশে আধিপত্যবাদ মেনে নেওয়া হবে না জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে কোনো ছাড় নেই। প্রতিবেশীদের সঙ্গে ন্যায্যতার ভিত্তিতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পক্ষে। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ ও সর্বস্তরের মানুষের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। ফ্যাসিস্ট পালিয়ে পালিয়ে গেলেও ওপার থেকে উঁকিঝুঁকি ও নানা বক্তব্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশনের সকল শর্ত মেনে জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধিত হয়েছিল। তারপরও সম্পূর্ণ অনৈতিক ও অন্যায্যভাবে আদালতের ন্যায়ভ্রষ্ট রায়ের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করা হয়। আমাদের প্রতীকটিও কেড়ে নেয়া হয়েছিল। আমরা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করি। গত ১ জুন সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের সর্বসম্মত রায়ে হাইকোর্টের দেয়া রায়কে অবৈধ এবং বাতিল ঘোষণা করেন। একই সাথে ২০১৩ সালের আগে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীকের বিষয়টি যে অবস্থায় ছিলো সেই অবস্থায় ফিরে দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে তারা নির্দেশ প্রদান করেন। আমরা মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের এই পটপরিবর্তন না হলে হয়তোবা আজকেও আমরা আমাদের অধিকার ফেরত পেতাম না।
তিনি আরও বলেন, জামায়াতের সাবেক আমীর ও ডাকসুর জিএস প্রফেসর গোলাম আযম (রাহি.) প্রণীত কেয়ারটেকার ফর্মুলায় ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়; যা দেশে বিদেশে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ নিজেদের ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা তুলে দেয়। তারা ২০১৪ সালে বিনা ভোটে, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করে এবং ২০২৪ সালে আমি আর ডামি নির্বাচন করে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয়।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, অতীতে অনেক সরকার আন্দোলনে বিদায় নিয়েছে, কিন্তু আওয়ামী লীগের মত কেউ পালায়নি। কী পরিমাণ অপরাধ তারা করেছে এ থেকে আন্দাজ করা যায়। কিন্তু ল্যাংড়া ভূতের মতো ওপাড় থেকে উসকানি দেয়। দেশে যেমন শিক্ষা দরকার ছিল, তা না থাকায় বেকারত্ব বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন জামায়াত আমির। তিনি বলেন, এটা আর শুনতেই চাই না- রাজনৈতিক দৃশ্যপট বদলের পর ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে কারো ওপর হামলা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সমস্যা হলো, জিতলে বলে নির্বাচন সুষ্ঠু, হারলে বলি পক্ষপাত দুষ্ট। ন্যায়বিচারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সম্পন্ন করে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। যেখানের জনগণ ভোট দিতে পারবে। কেউ ভোট নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করার দুঃসাহস দেখাবে না।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে জামায়াত আমির বলেছেন, তাদের অবশ্যই তালিকাভুক্ত করতে হবে। এটা খুব কঠিন কাজ নয়। শুধু সদিচ্ছা প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশন বলেছে এটা করবে, কিন্তু সদিচ্ছা দেখতে পাচ্ছি না। তিনি বলেন, এক কোটি ১০ লাখ প্রবাসীকে ইগনোর করে কোনো সফলতা দেখা যাবে না। রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ভোটের অধিকার না দেওয়া হবে নির্মম উপহাস। এতে দেশের অর্থনীতি করুন পরিনতির দিকে যাবে। এতে আমাদের কোনো কম্প্রোমাইজ নেই। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু ভোটাধিকার নয়, রেমিট্যান্সযোদ্ধা হিসেবে প্রবাসীদের আরও যা পাওনা, তা দিতে হবে। এখানে আপসের জায়গা নেই।
জামায়াত আমির বলেন, আশা করছি দ্রুতই নিবন্ধন এবং প্রতীক ফিরে পাবো। ভোজসভায় জামায়াতের প্রতীক খেয়ে ফেলা হয়েছিল। এখনকার নির্বাচন কমিশন যেন চেয়ারের সম্মান করে জামায়াতকে প্রতীক ফিরিয়ে দেয়। ব্যতিক্রম হলে জামায়াত চুপ থাকবে না।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন তুলেছে এনসিপি। বিদ্যমান কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কিনা- প্রশ্নের জবাবে শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াত আরও দেখতে চায়। কমিশনের কাজেই প্রমাণ হবে তাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিনা। এক্ষেত্রে সুপারিশ হলো, জাতীয় নির্বাচন ভাগ্য নির্ধারণী। ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়া স্থানীয় সরকারে আর কোথাও জনপ্রতিনিধি নেই। খুবই জনভোগান্তি হচ্ছে। তাই আগে স্থানীয় নির্বাচনের দাবি জামায়াতের। স্থানীয় নির্বাচনের মাধ্যমে কমিশনের সক্ষমতা এবং সদিচ্ছার প্রমাণ পাওয়া যাবে।
বিচার, সুষ্ঠু ভোটার তালিকা, জুলাই সনদ ও ঘোষণাসহ পাঁচটি ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচন চান জানিয়ে জামায়াত আমির বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা একটি সময়সীমা দিয়েছেন, জামায়াতও মতামত দিয়েছে। আগামী রমজানের আগে নির্বাচন হতে পারে। কোনো কারণে যদি নির্বাচন না হয়, তাহলে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন হওয়া উচিত। সময় বেঁধে দিতে চাই না। শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াত নেতারা ট্রাইব্যুনালে হত্যার শিকার হলেও, আওয়ামী লীগ ন্যায়বিচার পাক। ন্যায়বিচার হলে তাদের সাজা হবে।
গুমের শিকার এবং আওয়ামী লীগ আমলে বরখাস্ত সাবেক সেনা অফিসাররা সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন। বরখাস্ত কর্নেল হাসিন প্রশ্ন করেন, সশস্ত্র বাহিনীর সংস্কার, জাতীয় নিরাপত্তা নীতিমালা প্রণয়নে জামায়াতের অবস্থান কী? জবাবে শফিকুর রহমান বলেন, শুধু সেনাবাহিনী কেন আরও জায়গায় বহু সংস্কার দরকার। সবচেয়ে জরুরি রাজনৈতিক দলের সংস্কার। জামায়াত ন্যায্য সংস্কারের পক্ষে রয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে সব আসনে লড়াইয়ের মত সক্ষমতা জামায়াতের আছে কিনা প্রশ্নে শফিকুর রহমান বলেন, আজকেও যদি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ থাকে, জামায়াত ভোটে অংশ নিতে প্রস্তুত।
এক ব্যবসায়ী নেতা প্রশ্ন করেন- জামায়াতের অর্থনৈতিক রোডম্যাপ আছে কিনা। উত্তরে শফিকুর রহমান বলেন, এখন সুষ্ঠু অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা নেই। ব্যাংক লুট করে বিদেশে টাকা পাচারের কারণে দেশের আজ এই অবস্থা। জামায়াত এই জায়গায় হাত দেবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কুটনীতিকদের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, পাকিস্তান, ভারত, সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্কসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও কূটনীতিকবৃন্দ। জাতীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (একাংশের) আমীর মাওলানা আবু জাফর কাসেমী ও মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, জাগপার সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এসএম ইউসুফ।
মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার ঢাকার অধ্যক্ষ প্রফেসর মুহাম্মদ ওবায়দুল হক,তা’মিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার (মিরহাজিরবাগ) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. খলিলুর রহমান মাদানী, উত্তর বাড্ডা ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. আনোয়ার হোসাইন মোল্লা, মেসবাহুল উলুম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মাওলানা মতিউদ্দিন, নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু হানিফ, মুফতি নুরুজ্জামান নোমানি, দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক সালাহউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আযম মীর শাহীদুল আহসান, দৈনিক নয়া দিগন্তের নির্বাহী সম্পাদক মাসুমুর রহমান খলিলী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম. সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া, ডিইউজের সাবে সভাপতি এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, দৈনিক সংগ্রামের চীফ রিপোর্টার সামসুল আরেফীন, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. উমার আলী, প্রখ্যাত অর্থপেডিক্স সার্জন ডা. ইকবাল হোসাইন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব হাসান নাসির, লে: কর্ণেল (অব:) হাসিনুর রহমান প্রমুখ।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি এড. মতিউর রহমান আকন্দের সঞ্চালনায় সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ড. হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, এড. মুয়াযযম হোসাইন হেলাল, এড. এহসানুল মাহবুব জুবাযের ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, আবদুর রব ও মোবারক হোসাইন, জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোঃ সেলিম উদ্দিন ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম, ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দামসহ সেক্রেটারিয়েটের সদস্যবৃন্দ প্রমুখ।