দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র ও বেকারত্বমুক্ত করতে যাকাত ভিত্তিক ইসলামী অর্থব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর অব্দুর রহমান মূসা।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধায় রাজধানীর কাফরুলের একটি রেস্টুরেন্টে কাফরুল উত্তর থানা জামায়াত আয়োজিত ‘দারিদ্র বিমোচনে যাকাতের ভূমিকা ও আমাদের করণীয় শীর্ষক’ মতবিনিময় সভা ও সেলাই মেশিন বিতর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
থানা আমির রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি হাফেজ আশিকুর রহমানের পরিচালনায় সভায় প্রধান আলোচকের আলোচনা পেশ করেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ প্রফেসর ড. আব্দুস সামাদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জনাব লস্কর মোঃ তসলিম, কাফরুল জোনের সদস্য ও সাবেক থানা আমীর তারেক রেজা তুহিন প্রমূখ।
আব্দুর রহমান মূসা বলেন, সুদ ভিত্তিক অর্থব্যবস্থা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। ফলে প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ দরিদ্র হতে দরিদ্রতর হচ্ছে। তাই সমাজে দরিদ্র মানুষকে স্বাবলম্বী ও আত্মনির্ভরশীল করতে যাকাত ভিত্তিক ইসলামী অর্থ ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই। মূলত, ইসলামী অর্থব্যবস্থাই একমাত্র ইনসাফ ভিত্তিক সমাজের ভিত তৈরি করে। ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে জাতীয় অর্থনীতি পরিচালিত হলে দরিদ্ররা তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবেন এবং ধনীদের সম্পদ বৃদ্ধি এবং পুতঃপবিত্র করণের জন্য যাকাত প্রদান করবে। তিনি সে স্বপ্নের ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় সাহেবে নিসাবকে যাকাত প্রদান এবং সকলকে জামায়াতের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, দেশ ও জাতি এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারি ও ফ্যাসিবাদীদের পতন হলেও রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরে তাদের প্রতিভূরা সক্রিয় রয়েছে। তারাই অর্জিত বিজয় ও বিপ্লবকে নস্যাৎ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। তাই দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং তৃণমূল পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিত্বশীল প্রশাসন নিশ্চিত করতে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার আহবান জানান। অন্যথায় অর্জিত বিজয় ধরে রাখা যাবে না।