বিপুল অর্থের বিনিময়ের পাশাপাশি ভোল পাল্টিযে বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি (১৪৩২-১৪৩৪) বাংলা টার্ম নির্বাচনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৫৩ টি পদে আওয়ামী ফ্যাসিস্টপন্থীরা বিজয়ী হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের এ বিজয়ের মাধ্যমে ফাসিজম প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে । শনিবার রাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফল ঘোষণা করেন।
সভাপতি পদে মোহাম্মদ রায়হান মিয়া পেয়েছেন ৭৫৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্রকামী ও বৈষম্য বিরোধী প্যানেলের প্রার্থী এস এম আমিরুজ্জামান বিলাস পেয়েছেন ৩৬৭ ভোট। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে মুহাম্মদ আনিসুজ্জামান পেয়েছেন ৫৯০ ভোট। তার নিকটতম মোহাম্মাদ আলী আকবর সরকার পেয়েছেন ৫২৮ ভোট।
বিজয়ী প্যানেলের ২০১৮ সালের ১২ মে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ এর নেতা স্থানীয় কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন, শাহে আলম মুরাদ, ক্যাসিনো সম্রাট, ভোলার নুরুন্নবি চৌধুরী শাওন এর নেতৃত্বে নির্বাচন ভন্ডুল করে সমিতির অফিস দখল নেয়। সারাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা না থাকায় পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি নির্বাচন না দিয়ে এতদিন ক্ষমতাসীন ছিল। এই প্যানেলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ প্রায় সকলেই (মোঃ রায়হান মিয়া, মোঃ আনিসুর রহমান, মোহাম্মাদ বোরহান উদ্দিন, মোঃ ইউনুস, মোঃ এনামুল, মোঃ হুমায়ুন কবির, মোঃ আতাউর রহমান, মোঃ রফিকুজ্জামান, মোঃ মনিরুজ্জামান, মোহাম্মাদ আসাদূজ্জামান প্রমুখ) বিগত দিনে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের সমর্থন ও ফ্যাসিস্টের দোসরদের নিয়ে নির্বাচন করেছেন। তারা আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসরদের অফিস হিসেবে সমিতিকে ব্যবহার করেছেন। বর্তমান সময়েও ব্যাপক অর্থ বিনিয়োগ করে বিভিন্ন জায়গার আশ্রয় প্রশ্চয় নিয়ে সদস্যদের তথা গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্তৃপক্ষের মাঝে আতংক তৈরী করে বদলি বাণিজ্যের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। গত ১৫ বছর যারা অত্যাচার নির্যাতন করেছেন তারাই আবার জুলাই বিপ্লবের ০৫ই আগস্ট এর পরে নিজেরাই জাতীয়তাবাদী আদর্শের সংগঠন গঠন করে বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের নিকট গিয়ে জাতীয়তাবাদ সাজার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন জেলার সদস্যদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ, ফ্যাসিস্ট পন্থিরা গোপন মিটিং উক্ত প্যানেলে ভোট প্রদানের মাধ্যমে নির্বাচন ছিনিয়ে নিয়েছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরে শুদ্ধি অভিযান ও ন্যায্যতার বন্দোবস্ত না করা গেলে ঐতিহ্যবাহী এ দপ্তর আরো হুমকির সম্মুখীন হবে।#