আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস-- নারী ও পুরুষ শ্রমিকের বৈষম্য দূর করা ও বিশেষ করে এদেশে নারী শ্রমিকের সকল আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং মালিক - শ্রমিকের সকল বৈষম্য দূর করে এদেশের শ্রম আইন সমূহে ইসলাম প্রদত্ত নীতি প্রতিষ্ঠার আহ্বান করেছেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারি- আয়েশা সিদ্দিকা।

"শ্রমিক- মালিক এক হয়ে, গড়বো এদেশ নতুন করে" এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ বছর সকল শ্রমজীবী মানুষের জন্য মহিলা বিভাগ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী আয়েশা সিদ্দিকা পারভীন বলেন- গণঅভ্যুত্থানের পর এক নতুন বাংলাদেশকে সমৃদ্ধশালী করে গড়ে তোলার জন্য সকল শ্রমিক - মালিক এক হয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ সুসম্পর্ক বজায় রেখে নিরাপদ কর্মপরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা, ও শ্রমিক কল্যাণ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ শ্রম আইন যুগোপযোগী ও আধুনিকীকরণ করার প্রতি আমাদের গুরুত্বারোপ করা জরুরী।

তিনি আরো বলেন, এ দেশের শ্রমশক্তির অর্ধেকই নারী শ্রমিক। তাই দেশের বিভিন্ন খাতে কর্মরত নারী শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে সহানুভূতিপূর্ণ নজরদারির প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। এদেশের শ্রমনীতিতে এখনো নারী-পুরুষ বৈষম্য ব্যাপক পরিলক্ষিত হয়। বিভিন্ন কর্মস্থলে দেখা যায় নারী পুরুষের বেতন বৈষম্য, অস্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ, নারীর কর্মস্থলে চলাচলের নিরাপত্তাহীনতা, ছুটি হীনতা, ন্যায্যমজুরি বৈষম্য, সময় মত মজুরি পাওনা, সময়কাল বৈষম্য, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নারীর আইনগত অধিকার ইত্যাদি বিষয়গুলোতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানোর পূর্বে মজুরি প্রদান -ইসলামের অন্যতম একটি নির্দেশনা। আমাদের দেশে ইসলামের নির্দেশনা বাস্তবায়ন এখনো সম্ভব হয়নি। একটি সুন্দর সমাজ, সুশৃংখল রাষ্ট্র বিনির্মাণে ইসলামের শ্রমনীতি অনুসরণ সবার জন্য প্রয়োজন।

তিনি এবারের মে দিবসে সকল শ্রমিকদের প্রতি বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের সকল বৈষম্য ও চাহিদা পূরণের মাধ্যমে এদেশের শ্রম সেক্টর মজবুতকরন ও দেশের উন্নয়নে শ্রমিকদের অবদানকে আরো ফলপ্রসূ করে এদেশের এই সেক্টরটি বিশ্বের সুন্দরতম জায়গায় পৌঁছানোর আহ্বান ব্যক্ত করেছেন।