জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাতক্ষীরা জামায়াতের সাবেক আমীর মুহা: ইজ্জত উল্লাহ বলেছেন, অতীতের তুলনায় বর্তমানে জামায়াতে ইসলামির প্রতি মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে। মানুষ দেশকে নতুন আঙ্গিকে দেখতে চায়। দেশের আমানত তারা জামায়াতে ইসলামীকে তুলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে, রাজনৈতিক পরিসর মারাত্মকভাবে সংকুচিত করেছে এবং তাদের বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী ও লুটপাটের শাসনামলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরা আল—আমিন ট্রাস্টের কাজী শামসুর রহমান মিলনায়তনে মসজিদের ইমাম ও খতিবদের নিয়ে দিন ব্যাপি কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা ওসমান গণির সভাপতিত্বে ও জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ড. রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও সাতক্ষীরা জামায়াতের সাবেক আমীর মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা কর্মপরিষদ অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল বারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুহা: আব্দুল খালেক বলেন, পূর্ণাঙ্গ সংস্কার না হলে নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশয় তৈরি হবে। মানুষের মধ্যে যদি নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয় তাহলে সেই নির্বাচনে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করবে কিনা সেই শঙ্কা থেকে যায়। সংস্কারের ভিত্তিতে এই নির্বাচন হতে হবে। যেনতেন নির্বাচন জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারবে না। আমরা চাই একটি অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, উৎসবমুখর নির্বাচন। স্বৈরাচার ছাড়া সকল বৈধ দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন। এর আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। সংস্কারের বিষয়ে অনেকগুলো বিষয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমত পোষণ করেছে। এ সংস্কারের ভিত্তিতেই নির্বাচন হতে হবে। এ সংস্কারের ভিত্তিতে নির্বাচন হতে হলে সংস্কার একটি আইনি ভিত্তি তৈরি করতে হবে। তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনকে জাতির কাছে সেটি পরিষ্কার করার আহবান জানান। সেই সাথে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করার তাগিদ দেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাতক্ষীরা জামায়াতের আমর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল বলেন, নির্বাচন একটা যুদ্ধের নাম। সে যুদ্ধে বিজয়ী হতে হলে সাধারণ মানুষের কাছে যেতে হবে। সমাজের সকল মানুষকে আপন করে নিতে হবে। একটি কল্যানকামী সমাজ গঠনে ইসলামী নিয়ম কানুন মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। ইসলামের সুমহান আদর্শ একটি কল্যানমুখি রাষ্ট্র গঠনে মূখ্য ভূমিকা রাখতে পারে সেটা সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌছাতে আলেম সমাজকে গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে।

আগামী নির্বাচনের জন্য আলেম ওলামাদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান বলেন, দ্বীনের পথে যারা থাকেন, তারা পরস্পর ভাই—ভাই। এ সম্পর্ক পৃথিবীর সকল সম্পর্কের ঊর্ধ্বে। সামনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানামুখী সংকট, সংঘর্ষ, দেশি—বিদেশি ষড়যন্ত্র আলেম ওলামাদের মোকাবেলা করতে হবে।’