বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সহকারী ইশরাক হোসেন বলেছেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, এ বাংলাদেশে খুনি স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের কোনো দিন আর রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না। আমরা কোনো দিনও তা হতে দেব না। তাদের পুর্নবাসনের চেষ্টা করা হলে আমরা সর্বশক্তি দিতে তা রুখে দেব। অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে জোড়ালো দাবি জানাতে চাই, তাদের বিচারের প্রক্রিয়া তরান্বিত করা হোক এবং তাদের নিবন্ধন বাতিলের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অবলম্বে নেওয়া হোক।

শুক্রবার (২১ মার্চ) ভোলা সদর উপজেলা বিএনপির আয়োজনে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দেশের মানুষের কল্যাণে দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, খুনি স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নির্দেশে ৮ বছরের শিশুকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে। গর্ভবতী নারীকে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে গর্ভের সন্তানসহ তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। গাজীপুরে লাশ পুরিয়ে ফেলার বিভৎস চিত্র আমরা দেখতে পাচ্ছি।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য ইশরাক হোসেন বলেন, পতিত স্বৈরাচারের রেখে যাওয়া মিডিয়া ও ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এবং তারা সকলেই রয়েছে। ৫ আগস্টের পর গুহার ভেতর লুকিয়ে ছিল এখন তারা মাথাচারা দেওয়ার একটা অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। তাই আমাদেরকে অত্যন্ত সতর্কভাবে শান্তি শৃঙ্খলা বর্জায় রেখে কঠোর অবস্থান নিয়ে কোনো অবস্থাতেই যেন আগামী নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের একদিন পরেও না যায়। এ বিষয়ে যে কুচক্রান্ত রয়েছে রুখে দিতে হবে। এজন্য আমাদের জনগণের পাশে থাকতে হবে, জনসমর্থন আদায় করে নিতে হবে, কোনো কর্মকাণ্ডে যেন মনক্ষুণ্ন না হয়, সেটি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। বিএনপির ভেতরে ঢুকে থাকা বিএনপির নাম ব্যবহার করে কতিপয় যে দুর্বৃত্তরা রয়েছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে ইশরাক হোসেন বলেন, সংস্কার এমনভাবে করা হোক যেটা দীর্ঘস্থায়ী হয়। সংস্কারের নামে নির্বাচনকে পিছিয়ে যেন তৃতীয় পক্ষ এখানে ঢুকে যেতে না পারে, তাহলে আরও ১০ থেকে ১৫ বছরের জন্য বাংলাদেশ পিছিয়ে যাবে। উত্তর কোরিয়ার মতো হয়ে যাবে, মিয়ানমারের মতো জান্তা সরকার চলে আসবে। সেটা আমরা কখনও হতে দিতে চাইনা, হতে দিতে পারি না। কারণ আমাদের দেশে এবং দেশের বাইরে শত্রুরা রয়েছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও ভারতে বসে প্রতিনিয়ত কুচক্রান্ত করছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে, সেগুলো আবার বিনিয়োগ করছে কীভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করা যায়।

অনুষ্ঠানে ভোলা সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসিফ আলতাফের সভাপতিত্বে ও প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন ভোলা জেলা বিএনপি আহবায়ক গোলাম নবী আলমগীর। বিশেষ বক্তা জেলা বিএনপি সদস্য সচিব রাইসুল আলমসহ জেলা বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।