DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

রাজনীতি

দারিদ্র্য দূর করতে যাকাত ভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থার বিকল্প নেই : মুহাদ্দীস আব্দুল খালেক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দলু খালেক বলেছেন, দারিদ্র্যতা দূর করতে যাকাত ভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থার বিকল্প নেই। যাকাত সম্পদের পবিত্রতা ও পরিশুদ্ধি অর্জনের সর্বোত্তমপন্থা। নামাজ ও রোজার মতোই যাকাত আদায় করাও একটি ফরজ ইবাদত।

জেলা সংবাদদাতা
bji-jossor
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দলু খালেক বলেছেন, দারিদ্র্যতা দূর করতে যাকাত ভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থার বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দলু খালেক বলেছেন, দারিদ্র্যতা দূর করতে যাকাত ভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থার বিকল্প নেই। যাকাত সম্পদের পবিত্রতা ও পরিশুদ্ধি অর্জনের সর্বোত্তমপন্থা। নামাজ ও রোজার মতোই যাকাত আদায় করাও একটি ফরজ ইবাদত। তবে বাংলাদেশের মুসলমানদের অনেকে যাকাত দিলেও তা শরীয়াহ সম্মতভাবে হয় না। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই যাকাতভিত্তিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। যে রাষ্ট্রের মানুষের মধ্যে ধনী-দরিদ্রের ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেল শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যশোর জেলার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

যশোর জেলা জামায়াতের আমীর আধ্যাপক গোলাম রসুলের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাওলান আবু জাফরের সঞ্চলনায় প্রধান অতিথি আরো বলেন, আল্লাহ ধনীদের সম্পদের ওপর দরিদ্রদের অধিকার দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে যাকাত ব্যবস্থাপনা কার্যকর না থাকায় জামায়াতে ইসলামী প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যাকাত আদায় ও বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সকল সামর্থবান ব্যক্তিকে জামায়াতের এই কার্যক্রমে যুক্ত হয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান মুহাদ্দিস আব্দলু খালেক।

প্রধান অতিথি বলেন, এই মহিমান্বিত মাস দোয়া কবুল ও নাজাতের মাস। তাই এই রমজানুল মোবারক মাসে সিয়াম ও কিয়াম পালনের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশি বেশি চাইতে হবে। মানুষ যাতে তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি লাভ করতে পারে এজন্যই সিয়ামকে আমাদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় করে দেয়া হয়েছে। কালামে হাকিমে ‘হে ইমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যে-রূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো-এই আয়াত উল্লেখ করে মুহাদ্দিস আব্দলু খালেক বলেন, প্রত্যেক মুমিনের উচিত মাহে রমযানের হক যথাযথভাবে আদায় করে আত্মশুদ্ধি ও তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি অর্জন করা। তিনি মাহে রহমানের প্রকৃত শিক্ষাকে বাস্তবজীবনে কাজে লাগিয়ে শান্তির সমাজ বিনির্মাণে সকলকে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

মাহফিলে অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীও শুরা সদস্য মাওলানা আজীজুর রহমান যশোর জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, জেলা সহকারী সেক্রেটারি বেলাল হোসাইন, অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস, , এ্যাড: গাাজী এনামুল হক, অধ্যাপক আবুল হাশিম রেজা ভিপি আব্দুল কাদের প্রমূখ । এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলগণ।

আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে বক্তারা যাকাতের সঠিক বণ্টন, রমজানের তাৎপর্য ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সমাজ উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তারা যাকাতভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানান, যা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।#