পাবনার আটঘরিয়া দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা কমীরা জামায়াত নেতা কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে এবং ও পরবর্তীতে জামায়াত অফিসে অগ্নিসংযোগ এবং কুরআন পুড়িয়েছে এরই প্রতিবাদে পাবনা- চাটমোহর- ভাঙ্গুড়া- ফরিদপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে বিএনপির একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ আটঘরিয়া উপজেলা বিএনপির ১নং যুগ্ম আহব্বায়ক আছিম উদ্দিন

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন আলম এর নেতৃত্বে উপজেলা জামায়াত অফিসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়, এ সময় কুরআন হাদিস সহ অন্যান্য বই-পুস্তক পুড়ে ভসীভূত হয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা দেবোত্তর বাজারে আশেপাশে জামায়াত সমর্থিত নেতাকর্মীদের বাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ১৬ মে সকালে স্থানীয় জনসাধারণ ও জামায়াত নেতাকর্মী আটঘরিয়া উপজেলা সদর দেবোত্তরে সমবেত হয়ে পাবনাথ চাটমোহর -ভাঙ্গুড়া- ফরিদপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। স্থানীয় জনসাধারণের ব্যাপক উপস্থিতিতে তা প্রতিবাদ সমাবেশ রূপ নেয়। প্রতিবাদ সমাবেশে আটঘরিয়া উপজেলা মাওলানা আব্দুল আলিম মাসুদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পাবনা জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, জেলা জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক এস এম সোহেল, উপজেলা আমীর মাওলানা নকিবুল্লাহ, সাবেক উপজেলা আমীর মাওলানা আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

সকালে পাবনা জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল আটঘরিয়া উপজেলা জামায়াত অফিস উপস্থিত হলে স্থানীয় জনসাধারণ উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দের সাথে কথা বলেন এবং অফিস ভাঙচুর ও পোড়ানো সকল কক্ষ ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। এ সময় তিনি বিএনপির সন্ত্রাসী বর্বর রচিত হামলা কুরআন হাদিসের বই পোড়ানোর তীব্র নিন্দা জানান। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন জামায়াত নেতাকর্মীদের মারধর এবং অফিস পোড়ানো এই ঘটনা প্রমাণ করে বিএনপি একটি সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ দল। তিনি বলেন বিএনপির বর্বরচিতো কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রমাণ করে বিএনপি ও আওয়ামীলীগের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই।

উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার পাবনার আটঘরিয়ার দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অভিভাবকরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে গেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা জামায়াত সমর্থিত স্থানীয় অভিভাবকদের উপর আক্রমণ করে এ ঘটনার জেরে জামায়াত সমর্থিত অভিভাবকেরা প্রতিবাদের জন্য সমবেত হলে আসরের নামাজের সময় হয় আসরের নামাজরত অবস্থায় বিএনপির সন্ত্রাসী গ্রুপ বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় এবং গুলী করতে থাকে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধরা শুরু হয়। এক পর্যায়ে জামায়াত নেতাও আটঘরিয়া পৌর নির্বাচনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী সাইদুল ইসলাম মোল্লা ও আটঘরিয়া পৌর জামায়াত আমির মামুনুর রহমান লিটন সহ ১১ জন মারাত্মকভাবে আহত হয় সাইদুল ইসলাম মোল্লা আশঙ্কজনকভাবে আই সি ইউ তে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আটঘরিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে।

আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি ও আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মিনহাজুল ইসলাম এ প্রতিবাদেরকে জানান কলেজের গভর্নিং বোডির নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করা কে কেন্দ্র করে একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে, এ নির্বাচন স্থগিত করা হবে। আটঘরিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আতাউর রহমান রতন জানান, কলেজের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করাকে কেন্দ্র করে ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে তবে জামায়াত অফিসে আগুন দেওয়া হয়নি।আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিনহাজুল ইসলাম ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।