আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গুম খুনের দায়ে অভিযুক্ত ২৮ জনকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে ‘জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার্থে গুম-খুনে অভিযুক্ত ২৮ সামরিক কর্মকর্তাদের সেইফ এক্সিট দেওয়ার অপচেষ্টার প্রতিবাদে ও অতিদ্রুত দোষীদেরকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিতে’ জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি এ সব সব দাবি জানান। এ সময় অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
তাদের পাঁচ দফা দাবি হলো-
১. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল কর্তৃক গুম-খুনের দায়ে অভিযুক্ত ২৮ জনকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করতে হবে
২. গুম-খুনে সরাসরি ইন্ডিয়ার সংশ্লিষ্টতা প্রতীয়মান হওয়ায় আন্তর্জাতিক আদালতে বাংলাদেশ সরকারকে ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে হবে
৩. পিলখানা ও গুম কমিশন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম সহ দায়িত্বপ্রাপ্ত সকলের পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে
৪. পিলখানা কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন কোন ধরনের কাটছাঁট ছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে
৫. ক্যান্টনমেন্ট থেকে সেইফ এক্সিট দেয়া ৬২৬ জন সহ অন্যান্য অপরাধীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে অতিদ্রুত ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে
শরীফ ওসমান হাদি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণকে আর দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করানো চলবে না। কিছু গণহত্যাকারী, লুটেরা, পাচারকারী, গুমকারী ২৫-৩০ জন মানে বাংলাদেশের আপমর সেনাবাহিনী নয়। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে যারা দাঁড়িয়েছে তারাই আমাদের সেনাবাহিনী। সুতরাং সেনাবাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক মানুষের কোনো সমস্যা নেই। আমরা সবাই একসঙ্গে আছি। আমাদের কমন শত্রু গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ, দিল্লির সেবাদাস সেই সমস্ত জেনারেলরা, যারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করেছে। তাদের বিচার হবেই হবে।’
তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে যাদেরকে সেফ এক্সিট দেওয়া হয়েছে, ইন্ডিয়া এবং অন্যান্য অন্যান্য যেসব দেশে তারা পালিয়েছে, ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদেরকে ফিরিয়ে এনে অতিদ্রুত বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’