বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর প্রভাব পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্ণেল (অব.) অলি আহমদ। তিনি বলেন, “ইদানিং দেখছি এস আলমের লোকও নমিনেশন পাচ্ছে।”
বুধবার রাতে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বরমা কলেজ মাঠে গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দলের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
অলি আহমদ বলেন, “দেশের বাজার পরিস্থিতি ভয়াবহ। সবজির দাম দ্বিগুণ, মাছসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য লাগামহীন। কারণ, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে কিছুই রাখেনি। ১৩৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করেছে। এই অর্থ দেশে থাকলে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম ধনী রাষ্ট্রে পরিণত হতো।”
তিনি আরও বলেন, “এখনও হাসিনার লোকজন রাজনীতিতে সক্রিয়। কেউ এস আলমের মাধ্যমে, কেউ আবার অন্য চ্যানেলে সক্রিয় হচ্ছে। ইদানিং জনগণের মুখে শুনছি-এস আলমের লোকজনও এখন নমিনেশন পাচ্ছে। আমি জনগণের সঙ্গে একমত।”
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অলি আহমদ বলেন, “দেশজুড়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে সর্বত্র সংঘর্ষ, গুলীবর্ষণ ও রক্তপাত হচ্ছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ এক অশান্ত পরিবেশে নিমজ্জিত।”
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, “পাপ বাপকেও ছাড়ে না-এটা মনে রাখতে হবে। ভুল করলে তার কাফফারা দিতেই হবে। এখন ভুল করার সময় নয়। সত্য ও ন্যায়ের পথে থাকতে হবে। সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে জনগণের জন্য।”
বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “দেশ পরিচালনা খেলাধুলা নয়। ‘লটারি মন্ত্রী’ বানিয়ে রাষ্ট্র চালানো সম্ভব নয়। এমন লটারির মাধ্যমে মন্ত্রী বানানোর ঘটনা আমার ৬০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কখনও দেখিনি। ইউনূস সাহেব হয়তো এ জন্য আরেকটা নোবেলও পেতে পারেন-লটারির মাধ্যমে সরকার পরিচালনার জন্য!”
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দল চন্দনাইশ উপজেলা শাখার সভাপতি জসিম উদ্দীন। পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. মোরশেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপির সভাপতি এম. এ. ইয়াকুব আলী, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শিমুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মনছুর আলম, চন্দনাইশ উপজেলা এলডিপির সভাপতি মোতাহের মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আকতার আলম।