DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

রাজনীতি

রাজশাহীতে শিবির সভাপতি জাহিদুল

ন্যায়ের পথে যারা অবিচল থাকে তারা কখনো নিঃশেষ হয়ে যায় না

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ১৯৮২ সালের মতিহারের চত্বরে যারা আমাদের ভাইদের হত্যা করে ভেবেছিল ছাত্রশিবির নিঃশেষ হয়ে যাবে, ইসলামের কথা বলার কেউ থাকবে না তাদের ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।

রাজশাহী ব্যুরো
Printed Edition
RAJ
২৫০ শিক্ষার্থীদের মাঝে কুরআন বিতরণ করেন শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম- সংগ্রাম

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ১৯৮২ সালের মতিহারের চত্বরে যারা আমাদের ভাইদের হত্যা করে ভেবেছিল ছাত্রশিবির নিঃশেষ হয়ে যাবে, ইসলামের কথা বলার কেউ থাকবে না তাদের ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রজন্ম দেখিয়ে দিয়েছে, ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর লোক আজও আছে। যারা ন্যায়ের পথে অবিচল থাকে তারা কখনো নিঃশেষ হয়ে যায় না। ১১ মার্চ শহীদ দিবস উপলক্ষে রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাজশাহী কলেজের রবীন্দ্র-নজরুল চত্বরে ২৫০ জনের মাঝে কুরআন বিতরণ ও আলোচনা সভায় তিনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আরও বলেন, আপনারা যদি সত্যিকার অর্থে জুলাইয়ের চেতনা ধারণ করতে চান, যদি বীর শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে চান, তবে কুরআনকে ধারণ করে দেশে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করুন। তবেই শহীদ আলী রায়হান, আবু সাঈদ শান্ত, মুগ্ধদের আত্মা শান্তি পাবে। রাজশাহী মহানগর শিবিরের সভাপতি শামীম উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের তথ্য ও ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শাহ হোসাইন আহমদ মেহেদী।

এ সময় রাজশাহী মহানগর শিবির সেক্রেটারি ইমরান নাজির শিবিরের আয়ের উৎস সম্পর্কে বলেন, শিবিরের আয়ের উৎস শিবিরের সংবিধানের ৩৬ নম্বর ধারায় উল্লেখ করা রয়েছে এবং যারা শিবিরের আয়ের উৎস সম্পর্কে জানতে চেয়েছে আমি আজ তাদের আয়ের উৎস সম্পর্কে জানতে চাই। তারা তাদের সংগঠনের উপার্জন কিভাবে করে থাকে? তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে যারাই নিজেদের বাংলাদেশের স্বত্বাধিকার বলে দাবি করেছে তারাই এদেশে সব থেকে বেশি জুলুম করেছে। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এদেশের মাটি ও মানুষের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য ইসলামী ছাত্রশিবির সর্বদা সচেষ্ট ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।