গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ড ও সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনকে মারধরের ঘটনাকে ঘিরে বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচারের অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক, উত্তরাঞ্চল, সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুরের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন বাসন থানা বিএনপির সভাপতি, তানভীর সিরাজ। দণ্ডবিধি ৫০০/৫০১/৫০৫-ঘ ধারায় মামলা রুজু করা হয়।

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, সারজিস আলম তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে ৭ আগস্ট রাত ১০টা ২ মিনিটে পোস্ট দেন, যেখানে তিনি দাবি করেনÍ‘গাজীপুরে এক বিএনপি নেতা চাঁদাবাজি নিয়ে নিউজ করায় দুপুরে আনোয়ার নামে এক সাংবাদিককে ইট দিয়ে থেতলে দিয়েছে বিএনপির কর্মীরা, আর দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের সাংবাদিক তুহিনকে রাতে চান্দনা চৌরাস্তার চা দোকানে জবাই করে হত্যা করেছে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা। আনোয়ার ও তুহিন বন্ধু ছিলেন।’ এ পোস্টে মিথ্যা, অসত্য ও মানহানিকর বক্তব্য প্রকাশ করে বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়, যা পরে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত হয়। এর ফলে মামলার বাদী ও বিএনপির সমর্থকদের মানহানি ও সামাজিকভাবে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

বাদী তানভীর সিরাজ বলেন, “সাংবাদিক তুহিনকে অপরাধী চক্র ভিডিও ধারণের কারণে হত্যা করে। কিন্তু এনসিপির নেতা সারজিস আলম না জেনেই ফেসবুকে বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালিয়েছেন, যা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। জিএমপি কমিশনার ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, এ হত্যাকাণ্ডে কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তাই দলের নির্দেশে আমি মামলাটি করেছি, আশা করি ন্যায়বিচার পাব।”

বাদীপক্ষের আইনজীবী, অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান জানান, আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আদালত পরবর্তী নির্দেশ দেবেন।

গাজীপুর মহানগর আদালতের পরিদর্শক, আহসান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, বাসন থানা বিএনপির সভাপতি সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন। তবে মামলায় আর্থিক ক্ষতিপূরণের নির্দিষ্ট অঙ্ক উল্লেখ করা হয়নি।