বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপি এগুচ্ছে। গতকাল রোববার দুপুরে এক আলোচনায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান হয়েছে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের মূল মন্ত্রে মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের মূল মন্ত্রেই। সেই গণঅভ্যুত্থানে তারেক রহমান নেপথ্যের একজন কুশীলব হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত হয়েছিল এবং স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছিল।

মঈন খান বলেন, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, যেখানে ভিন্ন ভিন্ন ফুল থাকবে কিন্তু যখন বাংলাদেশের প্রশ্ন আসবে তখন সেটি হবে একটি ফুলের মালা সমন্বিত, সকলের সমন্বয়ে। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের এর চেয়ে মহৎ ও চমকপ্রদ উদাহরণ আর কি হতে পারে আমার জানা নেই। দেশী-বিদেশী চক্রান্তে জিয়ার মৃত্যুর পরে বিএনপির হাল ধরা খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বের কথা তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, সেই পথ ধরেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপি এগুচ্ছে।

জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘৭ নভেম্বর প্রজন্ম’ সংগঠনের উদ্যোগে ড. মারুফ মল্লিকের লেখা ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ: নাগরিক ও জাতিবাদী জাতীয়তাবাদের সংকট’ গ্রন্থের প্রকাশনা উপলক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ছাত্র রাজনীতিতে নির্বাচন হচ্ছে, কি নির্বাচন হচ্ছে না হচ্ছে আপনারা সব দেখছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের যিনি ভিপি হয়েছেন তাকে কি ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে? তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোনটা অবৈধ দোকান-পাট দেখছেন. অবৈধ দোকান-পাট থাকতে পারে কিন্তু সেটা জরিমানা করার ক্ষমতা কি ডাকসুর ভিপির আছে? তিনি সেটা জরিমানা করে সেটা আবার দিচ্ছেন পার্টির ফান্ডে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানচর্চার দায়িত্ব পালন করবেন তিনি, সেই জ্ঞানচর্চায় শিক্ষক-ছাত্রদের অংশগ্রহণ থাকবে এইটা কতটুকু নিশ্চিত করা হচ্ছে সেটা না করে আপনি যে বৈধ-অবৈধ তার কাছ থেকে ফাইল করছেন। আমিও ভিপি ছিলাম একটা ইউনিভার্সিটির (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ) আমরা তো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কে দোকানদারি করছে, কে মার্কেট করছে সেটা দেখিনি, এটা তো ইউনিভার্সিটির অথরিটি আছে, প্রশাসন আছে তারা এগুলো দেখবে। একজন ছাত্রনেতা হিসেবে বলতে পারেন যে ক্যাম্পাসে শান্তি বিঘিœত হচ্ছে স্যার এটা দেখেন। অথচ আপনি গিয়ে জরিমানা করে দিচ্ছেন, এটা কোন নীতি।

তিনি বলেন, আমরা দেখছি, ইউনিভার্সিটির হলগুলোতে লোহার খাট দিচ্ছে। এটা কি কোন রাজনৈতিক সংগঠন বা ডাকসুর দায়িত্ব? আপনি ছাত্রদের দাবি দাওয়া নিয়ে ভাইস চ্যান্সেলরের সাথে বার্গেনিং করবেন। এটার বাইরে তো না। এটা কী এতিমখানা নাকি যে আপনি সেখানে লোহার খাট দেবেন, আপনি সেখানে কি বলে যে খাবার জন্য ডাইনিং টেবিল দেবেন। এই জিনিসগুলো কিন্তু খুব বাজে আলামত বলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনায় সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, গ্রন্থের লেখক মারুফ মল্লিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।