বৈষম্যবিরোধী জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় গাজীপুরে রাতভর অভিযান চালিয়ে ৫৪ জনকে আটক করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। আটককৃতদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।

মামলায় একনম্বর আসামি করা হয়েছে গাজীপুর মহানগরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন রাব্বিকে। মামলায় ‘হুকুমের আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সাবেক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আকম মোজাম্মেল হক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে। মামলার অন্যান্য আসামিদের বিস্তারিত পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাহিদ হাসান জানান, হামলার পরপরই থানা ও ডিবি পুলিশের সমন্বয়ে অভিযান চালানো হয়। প্রাথমিকভাবে দুইজনকে আটক করা হয়—গাজীপুর মহানগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মো. নিজাম উদ্দিন ও কাশিমপুর থানা শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি মাসুম আহমদ দিপু। পরে রাতভর অভিযানে মোট ৫৪ জনকে আটক করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৪ মে সন্ধ্যায় চান্দনা চৌরাস্তার কাছে মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা পেছন দিক থেকে এসে হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে গাড়ির জানালার গ্লাস ভেঙে যায়। হামলার সময় তিনি গাড়িতেই অবস্থান করছিলেন,

এতে রক্তাক্ত হয় তার হাত।

আজ সোমবার (৫ মে) বিকেলে এনসিপি সদস্য আল আমীন বাদী হয়ে গাজীপুর মহানগরের বাসন থানায় মামলা (নং-৬) দায়ের করেন। মামলায় ১০০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অনেককে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। ৫৪ জন আটককৃতদের মধ্যে ৪৩ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীন খান।

পুলিশ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং ঘটনার নেপথ্যে কারা পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন, তা খুঁজে বের করতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে জিএমপি।