বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ বলেছেন, নির্বাচনের সকল কুক্ষিগত পদ্ধতি বানচাল করতে পারে একমাত্র পিআর পদ্ধতি। গতকাল শুক্রবার মগবাজারস্থ আল-ফালাহ মিলনায়তনে রাজশাহী অঞ্চলের দুইদিন ব্যাপী লিডারশীপ ট্রেনিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে কখনো নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় না। কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে ছাড়া কখনো নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় না। আসনের ভিত্তিতে সরকার গঠন করার কারণে সকল জনগনের ভোটাধিকারের প্রতিফলন হয় না। জনগনের শতভাগ ভোটাধিকারের প্রতিফলন পেতে হলে একমাত্র পদ্ধতি হলো চজ পদ্ধতি।

ড. আজাদ বলেন, ২০০৫ সালে সর্বত্র সর্বপ্রথম চজ পদ্ধতির কথা তুলেন সাবেক আমীরে জামায়াত অধ্যাপক গোলাম আযম। তিনি বলেন দেশের সকল ভোটারকে মূল্যায়ন করতে হলে পিআর পদ্মতির কোন বিকল্প নেই। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি ইতিহাসের সেরা নির্বাচন উপহার দিতে চান। তিনি সেরা নির্বাচন কিভাবে উপহার দিবেন? সেরা নির্বাচন উপহার দিতে হলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। তাহলেই কেবল সেরা নির্বাচন উপহার দিতে পারবেন। এই নির্বাচন জুলাই সনদ স্বাক্ষর করার পর নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করেই কেবল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন- যারা নিজেদের সব সময় চাঁদাবাজী টেন্ডারবাজী আর রাষ্ট্র ধ্বংসের কাজে নিয়োজিত কেবল তারাই পিআর পদ্ধতি চায়না । বাকী সবাই এ পস্তুতি নির্বাচন চায়। তিনি আরো বলেন, শুধু জাতীয় নির্বাচন নয় আমাদের দাবি হলো স্থানীয় সরকার নির্বাচনও কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে হতে হবে। কারণ দলীয় সরকারের অধীনে স্থায়ীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সে নির্বাচন নিরপেক্ষ হয় না। তাই কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। এই পদ্ধতি যদি একবার চালু হয়ে যায় তাহলে পরবর্তীতে ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সংঘটিত হলে একদিকে যেমন সফল জনগণের ভোটের প্রতিফলন ঘটে তেমন সকল দলের প্রতিনিধিত্ব মূলক সরকার গঠিত হবে। এতে করে অতীতের ন্যায় কেউ স্বৈরাচাবী হয়ে উঠার পথ বন্ধ হয়ে যায়। সকল দলের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার হলে তা হবে জবাবদিহিতমূলক সরকার। তা না হলে আবার ই নতুন সৈরাচার হয়ে উঠার সম্ভাবনা থাকাবে।

পিআর পদ্ধতি শুধু বাংলাদেশে আমরা বলছি এমনটা নয় এই পদ্ধতিতে সারা পৃথিবীতে প্রায় ৬০+ দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই পদ্ধতিতে যেসকল দেশে নির্বাচন হয় সে সকল দেশও আমাদের দেশের থেকেও উন্নত দেশ। তাই এই পদ্ধতিতে নির্বান হলে দেশের সকল ভোটারের যেমন প্রতিফলন হবে তেমনি দেশও উন্নত হবে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আবদুস সাদেক ভূইয়া, রাজশাহী মহানগরী আমীর ড. মাওলানা মো: কেরামত আলী, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মাদ ইয়াছিন আরাফাত প্রমুখ। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।