আগস্ট বিপ্লবের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ক্ষুধা, দারিদ্র, অপশাসন-দুঃশাসন মুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে লক্ষ্মীপুরের গণজমায়েতকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে সর্বস্তরের জনতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

গতকাল শুক্রবার লক্ষ্মীপুরের স্থানীয় একটি মিলনায়তনে হাজিরপাড়া ইউনিয়ন জামায়াত আয়োজিত আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি আমীরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমানের লক্ষ্মীপুর আগমন উপলক্ষ্যে এক প্রস্তুতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইউনিয়ন আমীর মাওলানা অব্দুর রহীমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মোস্তফা মোল্লা, চন্দ্রগঞ্জ থানা সেক্রেটারি এডভোকেট রেজাউল ইসলাম খাঁন সুমন ও সহকারী সেক্রেটারি ডাঃ মুহাম্মাদ কাউসার হামীদ ও হাজিরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুহাম্মদ আনোয়ার এলাহী। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

ড. রেজাউল করিম বলেন, আমাদের দেশপ্রেমী জনতা আত্মভোলা ও সরল বিশ্বাসী হলেও তাদের স্মৃতি খুবই প্রখর এবং কর্মের ক্ষেত্রে বেশ প্রত্যয়ী। কিন্তু মাফিয়ানেত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলের লোকেরা মনে করেছিলো যে, মাত্র ৬ মাসেই তারা আওয়ামী হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, গুম, অপহরণ ও নির্মম গণহত্যার কথা ভুলে গিয়ে তাদেরকে আবার নতুন করে বরণ করে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছে। তাই বাকশালী নেত্রী মাঝে মাঝেই চট করে দেশে ঢুকে পরা, আবার আগামী মার্চের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেশে ফেরার স্বপ্লবিলাসে বিভোর। তারা এসব ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল ও অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করতে চায়। কিন্তু তাদের সে স্বপ্লবিলাস কখনোই সফল হবে না বরং ছাত্র-জনতা সকল বাকশালী ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দেবে। তিনি আওয়ামী লীগের দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। অন্যথায় ফ্যাসীবাদ নতুন করে মাথাচাঁরা দিতে পারে।

তিনি বলেন, জনগণ অতীতে যাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠিয়েছে তারা জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন না করে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করে নিয়েছে। তাই তারা বারবার প্রতারিত ও আশাহত হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ এখন জামায়াতের দিকেই চেয়ে আছে। তারা আগামী নির্বাচনে জামায়াতকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠিয়ে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্্ের পরিণত করতে চায়। তিনি শহীদদের স্মৃতিবিজরিত লক্ষ্মীপুরের কথা উল্লেখ করে বলেন, শহীদ ডা. ফয়েজ সহ অগণিত শহীদের রক্তে রঞ্চিত পূণ্যভূমি লক্ষ্মীপুর। তাই আগামী নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরে ইসলামের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি ও শহীদদের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে শহীদদের রক্তের বদলা নিতে হবে। তিনি আমীরে জামায়াতের সমাবেশকে স্মরণকালের সর্ববৃহত সমাবেশে রূপ দিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।