শহীদ নাঈম জুলাই গনঅভ্যুত্থানের চেতনার প্রতীক মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, শহীদ নাঈম হাওলাদার ছিলেন ফ্যাসিবাদবিরোধী জুলাই গণআন্দোলনের অগ্রসৈনিক। তাঁর বুকের তাজা রক্তে লেখা হয়েছে স্বাধীনতার দ্বিতীয় অধ্যায়ের সূচনা। তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গণতান্ত্রিক শহীদ ঘোষণা করতে হবে। তাঁর আত্মত্যাগ যেন আগামী প্রজন্মের কাছে সত্য, ইনসাফ ও সাহসের প্রতীক হয়ে থাকে।

তিনি আজ ১৯ জুলাই (রবিবার) লেবার পার্টির কার্যালয়ে শহীদ নাঈম হাওলাদারের প্রথম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্র মিশন আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

ডাঃ ইরান বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে পুনর্বাসন এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি দিতে হবে। আমাদের দায়িত্ব, জুলাই গনঅভ্যুত্থানের শহীদদের ত্যাগকে রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের চাবিকাঠি হিসেবে ব্যবহার করা।

বাংলাদেশ ছাত্র মিশনের সভাপতি সৈয়দ মোঃ মিলন এবং সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজমুল ইসলাম মামুনের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁই, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদি, দফতর সম্পাদক মোঃ মিরাজ খান, ঢাকা মহানগর লেবার পার্টির সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্র মিশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন লিটন, ঢাকা মহানগর ছাত্র মিশনের আহ্বায়ক রায়হান উদ্দিন সনি ও ঢাকা মহানগর সদস্য রেদোয়ান সাকিব, মোঃ ওসমান আলী প্রমুখ।

সভায় বক্তারা শহীদ নাঈমকে “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনার প্রতীক” হিসেবে অভিহিত করেন এবং তাঁর নামের স্মরণে একটি জাতীয় স্মৃতিফলক নির্মাণ ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে। তাঁরা বলেন, “এই শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে আমাদের স্বাধীনতা, ভোটাধিকার, মানবিক মর্যাদা ও ইনসাফভিত্তিক জনকল্যাণ রাষ্ট্র নির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

সভা শেষে শহীদ নাঈমসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মুফতি আরিফ বিন শহীদ।