বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, ডাকসুতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কার্যক্রমে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল এটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।

মিডিয়ার একটি অংশ, বিশেষ করে বসুন্ধরা গ্রুপের মিডিয়াগুলো, এটি নিয়ে ধারাবাহিক প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে এবং এরপর কোর্ট পর্যন্ত গড়ানোর পরিকল্পনা করেছে তারা—যাতে ডাকসুর স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়।

তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এর যথাযথ ব্যাখ্যা ও প্রমাণ কালক্ষেপণ না করেই দিতে হবে।

আজ শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে নিজ আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দেন।

এতে তিনি লেখেন, ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনতে না পেরে ব্যালট পেপার কোথা থেকে ছাপা হয়েছে সেটিকে কেন্দ্র করে পরিবেশ নষ্টের অপচেষ্টা চলছে।

অথচ—নির্বাচনের দিন সকালে মিডিয়া, পোলিং অফিসার, বিএনসিসি-সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের সামনে ব্যালট বক্স খুলে এর ভেতর সবাইকে দেখানো হয় এবং অতিরিক্ত কোনো ব্যালট জমা নেই তা নিশ্চিত করার পর সেটিকে সিলগালা করা হয়েছিলো।

সারাদিন নির্বাচন চলাকালে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কোনো দলের বা স্বতন্ত্র কোনো ভোটার কর্তৃক ভোট জালিয়াতি, কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, ব্যালট বক্স খুলে ফেলা, জোরপূর্বক ভোট প্রদান বা সিসিটিভি ব্ল্যাকআউটের ঘটনা ঘটেনি।

শুধুমাত্র টিএসসি কেন্দ্রে একটিমাত্র ব্যালট পেপার নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল, যার তাৎক্ষণিক সমাধানও করা হয়েছে।

ভোট গণনার পুরো সময় সিসিটিভি ফুটেজ লাইভে দেখানো হয়। প্রভোস্ট, রিটার্নিং অফিসার, বিএনসিসি ও মিডিয়া হাউসের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভোট গণনা করা হয় এবং প্রত্যেকের স্বাক্ষর নিয়ে কেন্দ্রের সামনেই ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছিল।

ষড়যন্ত্র আর দায় চাপানোর রাজনীতি বন্ধ করে শিক্ষার্থী বান্ধব কাজ করুন। অন্যথায় শিক্ষার্থীদের থেকে আরো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন। নোংরা রাজনীতির খেলা বন্ধ করতেই হবে।