ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবীর শ্রদ্ধেয় মাতা আছমা আখতার (৬৭) আর নেই। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার ভোর রাত সাড়ে ৪টায় ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বুধবার বাদ আসর জানাযা শেষে মরহুমাকে পারিবারিক কবরস্তানে দাফন করা হয়েছে। জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা জানাযার নামাজে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে প্রথমে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।

মরহুমা মৃত্যুকালে স্বামী, ৫ পুত্র, ৪ কন্যা ও বহু আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন আদর্শবান রত্নগর্ভা মা—যাঁর স্নেহ, দোয়া ও প্রেরণায় বেড়ে উঠেছেন একজন সাহসী রাজনৈতিক কর্মী ও নেতৃত্বের প্রতীক।

আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) বাদ আছর গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের বেলাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তাঁর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমাকে দাফন করা হয়েছে।

জানাজার নামাজে উপস্থিত ছিলেন—জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, গাজীপুর জেলা বিএনপির সেক্রেটারি শাহ রিয়াজুল হান্নান, কাপাসিয়া থানা বিএনপির সেক্রেটারি আজিজুর রহমান পেরা, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম, সহ জেলা ও মমহানগরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ।

মরহুমার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গাজীপুর জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ।

গাজীপুর জেলা জামায়াতের শোকবার্তা প্রদানকারী নেতৃবৃন্দ:

আমীর ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সেক্রেটারি মোঃ সফি উদ্দিন, নায়েবে আমীর মোঃ সেফাউল হক, নায়েবে আমীর মোঃ আব্দুল হাকিম, সহকারী সেক্রেটারি মোঃ আনিসুর রহমান বিশ্বাস, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান খান, সেক্রেটারি মোঃ শফিউদ্দিন।

গাজীপুর মহানগর জামায়াতের শোকবার্তা প্রদানকারী নেতৃবৃন্দ:

আমীর ও কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য অধ্যাপক মোঃ জামাল উদ্দীন, নায়েবে আমীর মোঃ খাইরুল হাসান, নায়েবে আমীর মোঃ হোসেন আলী, সেক্রেটারি আ স ম ফারুক।

শোকবার্তায় তাঁরা বলেন, “মরহুমা আছমা আখতার একজন আদর্শ নারী, ধার্মিক, পরহেযগার ও ইসলামের সেবায় নিবেদিত ছিলেন। তাঁর মতো রত্নগর্ভা মাথর স্নেহ ও দোয়া একজন রাজনৈতিক নেতাকে দৃঢ়চেতা এবং নিবেদিতপ্রাণ করে গড়ে তুলেছে। আমরা তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করি।

তাঁর মৃত্যুতে এলাকাবাসী ও ইসলামী আন্দোলনের অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আল্লাহ তাআলা তাঁকে ক্ষমা করুন, জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে এই শোক সহ্য করার শক্তি দিন। আমিন।